৯ দিন অতিবাহিত, জট কাটেনি মিতার মৃত্যু রহস্যের, ৪ জনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করবে সিআইডি
৯ দিন কেটে গেলেও মিতা মৃত্যু রহস্যের জট কাটল না। সিআইডি-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার পরও মিতার মৃত্যু আত্মহত্যা, নাকি পরিকল্পিত খুন, সে ব্যাপারে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা।
হাওড়া, ১৯ অক্টোবর : ৯ দিন কেটে গেলেও মিতা মৃত্যু রহস্যের জট কাটল না। সিআইডি-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার পরও মিতার মৃত্যু আত্মহত্যা, নাকি পরিকল্পিত খুন, সে ব্যাপারে ধন্দে তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও স্পষ্ট নয় মৃত্যুর কারণ। এখন ভিসেরা রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে সিআইডি। মিতার স্বামী ধৃত রানা মণ্ডল তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তার কথার সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
উলুবেড়িয়ার কুশবেড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে নবমীর রাতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী মিতা মণ্ডলের। তাঁর কপালে গভীর ক্ষত ছিল, নাক-মুখে ছিল রক্তের চিহ্ন। পণের দাবিতে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন মিতার বাপের বাড়ির সদস্যরা। মিতার স্বামী জানিয়েছিল, আত্মহত্যা করেছে মিতা।
তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ওই আঘাত লাগে ও রক্তপাত হয়। তা নিয়েই দ্বন্দ্ব চলছে। পুলিশ ন'দিনেও এই রহস্যের জট কাটাতে পারেনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিআইডি। একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করলেই অনেক সত্য সামনে চলে আসবে বলে বিশ্বাস তদন্তকারী অফিসারদের।
তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? কেন তাঁকে মারধর করা হয়েছিল? কেননা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট মৃত্যুর আগে আঘাতপ্রাপ্ত হন মিতা। ঠাকুর দেখতে যাওয়া নিয়ে অশান্তির সুত্রপাত আদৌ কতটা সত্য? সেটা কতদূরই বা গড়িয়েছিল, যার জন্য মৃত্যু পথ বেছে নিতে হয়? কেনই-বা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেড় ঘণ্টা দেরি হয়? বাড়ি থেকে হাসাপাতাল তো পাঁচ-দশ মিনিটের পথ। ১০ বার ফোন করা সত্ত্বেও ওই রাতে কেন ফোন তোলেনি মিতার স্বামী রানা?
পণের দাবিতে নিত্যদিন চাপ দেওয়ার অভিযোগ কতটা সত্য? প্রায়ই কি মদ খেয়ে মিতাকে মারধর করত রানা? ভালোবেসে বিয়ে, তার ছ'মাসের মধ্যে কেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এই দিকে গড়াল? সবকিছু পুঙ্খুনুপুঙ্খভাবে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই চারজনকে বসিয়ে জেরা করলে সমস্ত ঘটনাই প্রকাশ্যে এসে যাবে বলে বিশ্বাস তাঁদের।