সনিকা-বিক্রম দুর্ঘটনা কাণ্ডে মিসিং লিঙ্ক কী কী? জেনে নিন একনজরে
সনিকা মৃত্যুকাণ্ডে মিসিং লিঙ্ক তৈরি হয়েছে অনেকগুলি। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে সনিকার বাবা-মা কাউকে দোষ না দিয়ে চান, মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সত্য উদ্ঘাটিত হোক।
সনিকা চৌহানকে সঙ্গে নিয়ে রাসবিহারীর রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। আর সেই দুর্ঘটনাতেই প্রাণ গিয়েছে পেশায় মডেল সনিকার। আহত বিক্রম দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বেরিয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, তিনি মদ্যপ ছিলেন না। এবং জোরে গাড়িও চালাচ্ছিলেন না।[মডেল সনিকার মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য, অস্বস্তি বাড়ছে বিক্রমের ]
তবে সনিকার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে বাড়ির লোক, এমনকী আমজনতার একাংশ এই তত্ত্ব মানতে রাজি নয়। বিক্রম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে সনিকার বাবা-মা কাউকে দোষ না দিয়ে সত্য উদ্ঘাটিত হোক, তেমনটা চান। তার জন্য যা করতে হয় তারা করতে রাজি আছেন।
ঘটনার দিন রাতে পার্টির পর সনিকাকে গাড়িতে বসিয়ে ফাঁকা রাস্তায় একশো কিলোমিটারের বেশি গতিতে বিক্রম গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ। যদিও বিক্রম তা অস্বীকার করছেন। এবং সনিকা নিজে বেশি জোরে গাড়ি চালানো ভয় পেতেন বলেও দাবি করেছেন।
সনিকার বয়ফ্রেন্ড সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাঁর পরিবারকে চিনত না বিক্রম। সেভাবে যাতায়াত ছিল না। তবে সেদিন অত রাতে পার্টি থেকে বেরিয়ে একা কেন বিক্রমের সঙ্গে গিয়েছিলেন সনিকা? রাত ২টো ১৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে তিনটেয় নাইট ক্লাব ছাড়ার আগে পর্যন্ত তাঁরা দুজনে কোথায় ছিলেন? কারা তাঁদের দুজনকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন?
এছাড়া, কেন সনিকার বাবা-মাকে দুর্ঘটনার পরপরই খবর দেওয়া হয়নি? আহত হওয়ার পরে প্রথম কার ফোন নম্বর ডায়াল করেন বিক্রম? কেন বয়ফ্রেন্ড সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব সেই রাতে নাকচ করে দেন সনিকা? এই সমস্ত প্রশ্নের অজানা উত্তরই সনিকা মৃত্যুকাণ্ডে মিসিং লিঙ্ক তৈরি করেছে। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।