নারদকাণ্ডে ইডি-র পর সিবিআই গোয়েন্দাদের জেরা সুব্রতকে, কী জানালেন তিনি
সিবিআই এর আগে কোনও তৃণমূলী মন্ত্রীকে জেরা করেনি নারদকাণ্ডে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই প্রথম মন্ত্রী, যাঁকে জেরা করল সিবিআই।
নারদকাণ্ডে ইডি-র ডাকে আগেই সাড়া দিয়েছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিলেন তিনি। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। যথারীতি নারদ স্টিং অপারেশনের ফুটেজ দেখিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই এর আগে কোনও তৃণমূলী মন্ত্রীকে জেরা করেনি নারদকাণ্ডে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই প্রথম, যাঁকে জেরা করল সিবিআই। এর আগে তৃণমূলের সাংসদ সুলতান আহমেদ, ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক ইকবাল আহমেদ, টাইগার মির্জা ও এসএমএইচ মির্জাকে জেরা করে সিবিআিই। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও বাড়িতে গিয়ে জেরা করে সিবিআই।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে ইডি। তারপর এদিন সিবিআই জেরা করছে তাঁকে। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কেন নারদ কর্তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন? কেনই বা ওই টাকা নেন তিনি? ওই টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, বিনিময়ে নারদ কর্তাকে কী সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তাও জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নারদ কর্তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ইডি দফতরে তিনি আগেই স্বীকার করেছিলেন সেই কথা। সেই টাকা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তাও জানান। এদিনও সিবিআইয়ের কাছে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেন। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ইডি দফতরের বয়ানরে সঙ্গে সিবিআই দফতরের বয়ানে কোনও অসঙ্গতি মিলল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।