ছাত্ররা সরল, বুঝিয়ে সামলাতে হয়, যাদবপুরে পুলিশি হামলার নিন্দায় সরব মন্ত্রী
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিটলারি কায়দায় পুলিশি হামলা, আলো নিভিয়ে শ্লীলতাহানি
পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজে এক সময় ছাত্র পরিষদ করতেন। ছাত্র রাজনীতির সূত্রেই তাঁর উত্থান। সেই সুব্রতবাবু প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "এটা একদমই ঠিক হয়নি। ছাত্র আন্দোলন অত ব্যাকরণ মেনে হয় না। ওরা আবেগপ্রবণ। সরল, নির্মল। ওদের বুঝিয়ে সামলাতে হয়। ভালো ব্যবহার করলে ওরা কথা শুনবে, বাড়িতে গিয়ে জামাকাপড়ও কেচে দেবে। তবে অন্য সুরে যদি কথা বলা হয়, তা হলে মরে যাবে তবুও নিজেদের জায়গা থেকে মরবে না।"
তিনি আরও বলেছেন, "আমাদের ছাত্র জীবনে এ রকম হলে প্রধান শিক্ষক বা উপাচার্যরা বুক দিয়ে আগলাতেন। পুলিশ ডাকার মতো ঘটনাই ঘটত না। তখন এমন উপাচার্য ছিল না, ছাত্রও না।" প্রসঙ্গত, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানায় সুব্রতবাবু পুলিশমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তখনও এভাবে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন।
সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীও সমর্থন করেছেন সুব্রতবাবুর কথাকে। তিনি বলেছেন, "পুলিশের কাছে মার খেয়েছি আমরাও। কিন্তু রাস্তায়। কলেজে ঢুকে কোনও দিন পুলিশ আমাদের মারেনি। পুলিশ দু'-একবার সেই চেষ্টা করলেও মাস্টারমশাইরা রুখে দিয়েছেন।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গ অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। অন্ধকারের জীবেরা রাতের অন্ধকারে কাজ সেরেছে।"
এদিকে, বৃহস্পতিবার পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন ডিএসও এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপির মহিলা মোর্চা।