বাঘাযতীন ব্রিজের ভবিষ্যত কি মাঝেরহাটের মতো! মন্ত্রীর উদ্বেগে প্রশ্ন
বাঘাযতীন উড়ালপুলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বাঘাযতীন উড়ালপুল পরিদর্শন করেন।
বাঘাযতীন উড়ালপুলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বাঘাযতীন উড়ালপুল পরিদর্শন করেন। মেট্রোর বিরুদ্ধে বাঘাযতীন উড়ালপুলকে বিপদগ্রস্ত করে তোলার অভিযোগ এনেছেন তিনি। মেট্রোর কাজে উড়ালপুলের ব্যবহার নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও রকমের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শহরের দশটি উড়ালপুল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কালীঘাট উড়ালপুল দিয়ে শুরু করেন তিনি। কালীঘাটের পর ফিরহাদ হাকিম যান বিজন সেতু পরিদর্শনে। এরপর ঢাকুরিয়া উড়ালপুল হয়ে তিনি যান বাঘাযতীন উড়ালপুলে।
রাজ্যের কাছ থেকে কোনও রকমের অনুমতি না নিয়েই উড়ালপুলের রেলিং ভেঙে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও উড়ালপুলের ওপর ভারী ক্রেন চাপানোরও অভিযোগ এনেছেন তিনি। উড়ালপুলের কোনও ক্ষতি হলে তার দায় মেট্রোকে নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোরেল তৈরির দায়িত্বে রয়েছে রেল বিকাশ নিগম। পুর ও নগরোন্নন মন্ত্রীর অভিযোগ মূলত এই সংস্থার বিরুদ্ধেই।
যদিও, রেল বিকাশ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানাভাবের জন্য বাঘাযতীন উড়ালপুলের রেলিং ভাঙা হয়েছে। এই কাজের জন্য কেএমডিএ-র অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা।
কলকাতায় যে ২০ টি বিপজ্জনক উড়ালপুল রয়েছে, তার মধ্যে বাঘাযতীন উড়ালপুল অন্যতম। ফিরহাদ হাকিম এদিন জানান, ইতিমধ্যেই ওই উড়ালপুল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচলও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।