মেট্রোর কাজে উচ্ছেদ করা বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে আদলতে মামলা
মেট্রোর কাজে উচ্ছেদ করা বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে আদলতে মামলা
মেট্রোর কাজে উচ্ছেদ করা বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কারণ কি ? আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে মেট্রোর দুই ইঞ্জিনিয়ারকে। আদালত যদি তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ হাইকোর্টের।
১৯৯৩ সালে বেলগাছিয়া মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য উচ্ছেদ করা হয়। এ পর্যন্ত ২৮ বছরে তাদেরকে কোনও স্থায়ী জায়গা দেওয়া হয়নি। মেট্রোর অস্থায়ী জায়গায় রয়েছেন তাঁরা। এমনকি ২০১৯ সাল থেকে তাদের বিদ্যুৎও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কোনও কারন ছাড়াই কেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে একাধিকবার মেট্রো কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোনও ফল না পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হাজী মুমতাজ খান আলী। আদালতের নির্দেশ ছিল এনিয়ে সঠিক জবাব দিতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় আগামী ১ মার্চ সোমবার সকাল ১০ টা ৪৫ এ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সঠিক কারণ দর্শাতে হবে ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারকে।
আদালতের
পর্যবেক্ষণ,
মানুষের
বেঁচে
থাকার
জন্য
সংবিধানের
মৌলিক
অধিকার
জল-আলো-বাতাস।
তা
থেকে
কোনও
নাগরিককে
বঞ্চিত
করা
যায়না।
একথা
জেনেও
মেট্রো
কর্তৃপক্ষ
কেন
উচ্ছেদবাসীদের
দুই
বছর
ধরে
বিদ্যুৎ
বিচ্ছিন্ন
করে
অন্ধকারে
রেখেছে
!
এদিন
তা
নিয়ে
অসন্তোষ
প্রকাশ
করে
আদালত।
আইনজীবীরা
আরও
জানান,
মামলাকারী
একজন
প্রতিবন্ধী,
৭৬
বছরের
বৃদ্ধ।
বাড়িতে
পরিবারের
বাচ্চা-কাচ্চা
এবং
স্কুল
পড়ুয়ারাও
রয়েছে
বিদ্যুতের
অভাবে
তারা
পড়াশোনা
করতে
পারছে
না।
যেহেতু
মেট্রো
প্রকল্পের
অধীনে
তাঁরা
রয়েছেন
তাই
রাজ্যের
বিদ্যুৎ
দফতরও
তাদের
থেকে
মুখ
ফিরিয়ে
নিয়েছেন।