কলকাতায় ফের ভুল চিকিৎসার শিকার ১! দন্ত চিকিৎসা ঘিরে যুবতীর মৃত্যুতে তোলপাড়
ফের কলকাতায় ভুল চিকিৎসার শিকার হওয়ার খবর উঠে আসছে। স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। দাঁত সেট করতে গিয়ে মৃত্যু বছর ৩০ এর মহিলার।
ফের কলকাতায় ভুল চিকিৎসার শিকার হওয়ার খবর উঠে আসছে। স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। দাঁত সেট করতে গিয়ে মৃত্যু বছর ৩০ এর মহিলার। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সল্টলেকের এক নামকরা দন্তচিকিৎসক এর বিরুদ্ধে।
দাঁত এর একটি সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন জগদ্দল থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ৩০ এর অঞ্জলি সাহা। এপ্রিল মাসে নাগাদ ফোন মারফত অঞ্জলি দেবীর স্বামীর সাথে যোগাযোগ হয় সল্টলেকের নাম করা এক চিকিৎসক এর। দাঁত এর সমস্যা ঠিক করতে প্রথমে চিকিৎসক বড়সড় অর্থেক টাকা দাবি করেন। তার জন্যে পিছিয়ে আসেন অঞ্জলীর পরিবার। পরে মে মাস নাগাদ আবারও সেই চিকিৎসক এর চেম্বার থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
ঠিক হয়, চিকিৎসা ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার মধ্যে করে দেওয়া হবে। সেটিতে রাজি হয়ে অঞ্জলীর পরিবার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা জমা করে সেই চিকিৎসকের স্ত্রীর কাছে। অঞ্জলির স্বামী সুনীল বাবুর অভিযোগ এর পরেই গত ২৮ তারিখ অঞ্জলি দেবীর দাঁতের একটি অপারেশন করা হবে বলে জানান ওই চিকিৎসক। সেই অনুযায়ী ২৯ তারিখ রাতে সল্টলেকের তার চেম্বারে অপারেশন শুরু করেন চিকিৎসক। এরপর অপারেশন শেষ হলেও রোগীকে দেখতে দেননি ওই চিকিৎসক।
রাত ১১টা নাগাদ অপারেশন পরে অঞ্জলীর বিষয় চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান অঞ্জলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এর পরেই অঞ্জলি সাহাকে স্থানীয় একটি নিউরো হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঠিক না থাকায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান তার ৮৫% ব্রেন হামারেজ হয়েছে এবং তিনি কোমায় চলে গিয়েছেন। অবশেষে শনিবার মৃত্যু হয় অঞ্জলি সাহা।
এর পরেই অঞ্জলি দেবী স্বামী সুনীল কুমার সাহা স্বাস্থ্য ভবনে অভিযুক্ত চিকিৎসক অনির্বান সেনগুপ্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দল। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর ,অনেন্সটসেইয়া করার সময় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা বা কি কি ওষুধ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।