মমতার ধমক, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকে, বিচ্ছেদ-জল্পনা তুঙ্গে
বেশ কিছু দিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এক এক করে তাঁর ডানা ছাঁটা চলছিল। তাঁকে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
বেশ কিছু দিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এক এক করে তাঁর ডানা ছাঁটা চলছিল। তাঁকে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার নবান্নে গিয়ে তিনি সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কোনও তরফেই এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
যদিও নবান্ন থেকে বের হওয়ার পর তিনি এই ইস্তফার বিষয়টি এড়িয়ে যান। নবান্নের পরই তিনি তাঁর ঘরে যান। তারপরই মুখবন্ধ খামে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব গৌতম স্যান্যালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান বলে জানা গিয়েছে। তবে তার পরে নবান্ন থেকে বেরিয়ে আসার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, গুজব রটানোর হচ্ছে তাঁর নামে। তিনি পদত্যাগ করেননি।
অভিযোগ, এদিন নবান্নের সামনে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধমক খান শোভন চট্টোপাধ্যায়। সকলের সামনেই তিনি মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ধমক দেন। এরপরই তিনি নবান্নে ফিরে গিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে সূত্রের খবর। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাপোড়েনেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে এমন প্রভাব পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে থেকে পরিবেশ মন্ত্রক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতিত্বও হারিয়েছিলেন তিনি। এদিন তিনি তাঁর হাতে থাকা দুটি দফতর দমকল ও আবাসনের দায়িত্ব থেকেও ইস্তফা দিয়ে দিলেন। এখন তিনি শুধুই মেয়র থাকলেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়েছেন। এবং তা গৃহীতও হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেনস তা নিয়েও নবান্নে তৎপরতা চলছে। বিশেষ সূত্রে খবর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা দফতর পেতে পারেন অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম।
{document1}