দু-দিনে ১৪ ঘণ্টা জেরার পর রেহাই শোভনকে, আদৌ আশঙ্কা কি কাটল
নারদকাণ্ডে পর পর দু-দিন মিলে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জেরা করা হল কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। বহয়ান রেকর্ড করে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
নারদকাণ্ডে পর পর দু-দিন মিলে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জেরার পর আপাত স্বস্তি মিলল কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার টানা সাড়ে সাত ঘণ্টা জেরার পর সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে রেহাই পেলেন তিনি। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'আমার অবস্থানের কথা জানিয়েছি সিবিআইকে। তদন্তকারীদের কোনও ভুল বোঝাইনি।'
তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও বলেন, 'যা রটনা করা হচ্ছে, তা সত্যি নয়। আমি সিবিআই আধিকারিকদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সোজাসুজিই দিচ্ছি। কোনওরকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি আমি করিনি, করছিও না।' এদিনের পর ফের মেয়রকে তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সিবিআই। মেয়রও ফের সিবিআইকে এই মামলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন নারদকাণ্ডে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কালীঘাটে কোর কমিটির বৈঠকে তিনি বলেন, 'নারদে কিছু করতে পারবে না সিবিআই বা ইডি। অহেতুক হয়রানি করে চলেছে। বিজেপি অনেক চেষ্টা করেছিল। কিছুই করতে পারেনি। রোজভ্যালিকাণ্ডে সুদীপদাকে জেলে ঢুকিয়েছিল। নারদে সুব্রতদা, শোভন, ফিরহাদদের জেরা করেছে। কিন্তু কিছু লাভ হয়নি। ওদেরই এবার বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।'
নারদ ঘুষকাণ্ডে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে এদিন ফের তলব করেছিলে সিবিআই। শুক্রবার ১১টা থেকে জেরা শুরু হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। যথারীতি নারদ ফুটেজ দেখিয়ে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার যে প্রশ্নগুলি করা হয়েছিল, এদিনও ফের সেই একই প্রশ্ন করা হয় মেয়রকে। বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার দু-দিনের রেকর্ড খতিয়ে দেখবেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।