নারদকাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন মেয়র, গ্রেফতারির আশঙ্কাতেই কি মতবদল
সাতদিন আগেই ইডির তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কলকাতা পুরসভার মেয়রকে। নারদকাণ্ডে তাঁকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে।
নারদকাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সোমবার তলব করেছিল ইডি। এদিন ইডি দফতরে তাঁর যাওয়া নিয়ে প্রথমে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পরে মেয়র জানিয়ে দেন, তিনি এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না। তিনি প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার জন্যই এদিন যেতে পারছেন না ইডি দফতরে।
সাতদিন আগেই ইডির তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কলকাতা পুরসভার মেয়রকে। নারদকাণ্ডে তাঁকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর সিজিও কমপ্লক্সে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি শেষপর্যন্ত না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, নারদের স্টিং অপারেশনে ভিডিও ফুটেজে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। শোনা গিয়েছিল নানা কথোপকোথনও। তা নিয়েই ইডি তাঁকে জেরা করতে চেয়ে নোটিশ পাঠায়। এক সপ্তাহ আগে নোটিশ পেয়ে তিনি জানিয়েছিলেন হা্জিরা দেবেন বলে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মত পরিবর্তন করলেন মেয়র। প্রশাসনিক কাজের কারণ দেখিয়ে তিনি আপাতত ইডি-র মুখোমুখি হওয়া এড়াচ্ছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর সিবিআই নারদকাণ্ডে একে একে অনেককেই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এসএমএইচ মির্জা, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ ও সাংসদ সুলতান আহমেদকে জেরা করেছে সিবিআিই। সেই জেরায় উঠে এসেছে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে অনেক নামও।
তারপরই ইডি তৎপর হয় নারদকাণ্ডের তদন্তে। সিবিআই-এর পাশাপাশি ইডিও একই সঙ্গে তিনজনকে তলব করে। সেই তালিকায় প্রথম নামটিই ছিল মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। ১২ ও ১৩ জুলাই নারদকাণ্ডে ইডি তলব করেছে যথাক্রমে সুলতান আহমেদ ও ইকবাল আহমেদকে।