চিঠি পাঠিয়ে হাজিরা এড়ালেন শোভন, নারদকাণ্ডে কি বিপদ বাড়াচ্ছেন কলকাতার মেয়র
ইডি-র পর দমকলমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। ইডি তলব করে মেয়রের স্ত্রীকেও। নারদকাণ্ডে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ছেন মেয়র।
নারদকাণ্ডে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে আটঘাঁট বেঁধে প্রস্তুতই ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁদের প্রস্তুতিতে আপাতত জল ঢেলে দিলেন নারদ মামলায় অভিযুক্ত মেয়র। তিনি বুধবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না। সিবিআই দফতরে আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। সিবিআই অবশ্য চিঠির প্রাপ্তী স্বীকার করেনি।
ইডি-র পর দমকলমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। যেহেতু ইডি দফতরে ইতিমধ্যে হাজিরা দিয়েছেন তিনি, তাই সিবিআইয়ের ডাকেও তিনি নিজাম প্যালেসে হাজির হবেন, এমনটাই মনে করেছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সেইমতো প্রশ্নের তালিকা প্রস্তুত করে তৈরি ছিলেন তাঁরা। কিন্তু যাঁকে জেরা করার জন্য এত প্রস্তুতি, সেই তিনিই গরহাজির।
তিনবার তলবের পর ইডি-র ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন মেয়র। তাই সিবিআই একবার ডাকলেই যে তিনি যাবেন, ভাবাটা ভুল। মেয়র এদিন প্রশাসনিক কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে জেরা এড়ালেন। পরবর্তী সময়ে তিনি সিবিআই গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন চিঠিতে।
পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে পড়েছে, এর আগে ইডি-র জেরায় তিনি নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন বলেই কি এদিন হাজিরা এড়ালেন? এরই মধ্যে মেয়র-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও ডেকেছে ইডি। তাই নারদকাণ্ডে সপরিবারে বিপাকে পড়তে চলেছেন মেয়র। এখন এই সমস্যা থেকে বেরনোর উপায় বের করতেই তিনি সময় নিচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। এমনও অভিযোগ উঠেছে, গ্রেফতারির ভয়েই জেরা এড়াচ্ছেন মেয়র!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার বেহালার বাড়িতে নোটিশ পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই ডাক এড়িয়ে গেলেন। এবার বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে তলব করা হয়েছে হাজিরার জন্য। দ্বিতীয়বার নোটিশ পেয়ে তিনি হাজিরা দেন কিনা, তাই দেখার।