
তৃণমূলের শহিদ দিবসে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, তৈরি অ্যান্টি সাবোটাজ টিম, হাইরাইজ থেকে ভিডিওগ্রাফি
কালীঘাটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শহিদ দিবসে ধর্মতলায় নজির বিহীন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে শহিদ সভার মঞ্চের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। তার সঙ্গে ড্রোনে চলবে নজরদারি। শহিদ সভার আশপাশের হাইরাইজগুলি থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হবে। মোতায়েন থাকবে বিশেষ পুলিশকর্মী।

শহিদ দিবসের প্রস্তুতি তুঙ্গে
শহিদ দিবসের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করেছেন শহরে। তাঁদের থাকার জন্য এলাহি আয়োজন করেছে টিএমসি। সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকার জায়গা করা হয়েছে। দলীয় কর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে সভাস্থলে আসার অনুরোধ জািনয়েছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালেই ফেসবুকে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন তিনি। জেলা প্রশাসনের আধিকারীকদেরও সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির ঘটনার কথা স্মরণ করে আগে থেকেই তৎপর কলকাতা পুলিশ।
ধর্মতলার মঞ্চ ঘিরে ত্রিস্তরীয় িনরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে মঞ্চকে।
প্রথম জোনে থাকছে ডায়াস ও ভিক্টোরিয়া হাউজ। দ্বিতীয় জোনে থাকছে মূল মঞ্চর পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকা। আর তৃতীয় জোনে থাকছে ডি জোনের বাইরে চৌরঙ্গী স্কোয়ার ও স্টেটসম্যন হাউস সংলগ্ন অংশ।

কত পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছে
এই প্রথম জোনের নিরাপত্তায় থাকছেন ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৫ ইনস্পেক্টর, ৫ জন এসআই অথবা সার্জেন্ট। সেই সঙ্গে থাকছেন ৩০ জন সাধারন পুলিশকর্মী, ৯৫ জন সাদা পোশাকে পুলিস , ৪০ জন RAF। দ্বিতীয় জোনের
নিরাপত্তায় থাকছেন,১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৬ জন ইনস্পেক্টর, ১২ জন এসআই, ১৭ জন ASI, ৬৫ জন আনআর্মড পুলিশ এছাড়া ১০ জন সাদা পোশাকে পুলিশ। জোন-৩ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ১ জন DC, ৫ জন AC, ৭ জন ইনস্পেক্টর, ১৮ জন SI, ১৯ জন ASI, ১০৪ জন সাধারণ পুলিশ এবং ২ জন সাদা পোশাকে পুলিশ

হাইরাইজ থেকে নজরদারি
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করত সভাস্থল সংলগ্ন হাইরাইজগুলির উপর থেকে নজরদারি চালানো হবে। মেট্রো রেলে অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে। ড্রোনেও চলবে নজরদারি। ৮টি জায়গার ছাদে থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সই সঙ্গে থাকছে অ্যান্টি সাবোটাজ টিম। এছাড়া বুধবার রাত ৯টা থেকেই গোটা শহরে বাড়তি নজরদারি শুরু হয়ে যাবে।
শহরের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পিকেট থাকবে পুলিশের