খালের জলে ভেসে এল যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ, চাঞ্চল্য কলকাতার ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়
কলকাতা শহরে ফের উদ্ধার হল যুবতীর দেহ। আর সেই দেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতার ই এম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর এলাকায়। এখানে পশ্চিম চৌবাগা পাম্পিং স্টেশনের কাছে দেহটি মেলে।
কলকাতা শহরে ফের উদ্ধার হল যুবতীর দেহ। আর সেই দেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতার ই এম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর এলাকায়। এখানে পশ্চিম চৌবাগা পাম্পিং স্টেশনের কাছে দেহটি মেলে।
একটি বস্তার মধ্য়ে দেহটি পোড়া ছিল। এমনকী, দেহটি বস্তার ভিতরে মোড়া ছিল কম্বলে। বস্তাটিকে দড়ি দিয়ে এমনভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল যে বোঝা কঠিন তাতে দেহ আছে। বস্তাটিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিম চৌবাগা পাম্পিং স্টেশনের কাছে ভাসতে দেখেন দুই গৃহবধূ। তাঁরাইি লোকজনকে ডেকে আনেন। বস্তাটি পাড়ে তোলা হয়। বস্তা খুলতেই বেরিয়ে আসে যুবতীর দেহ।
খবর পেয়েইই ঘটনাস্থলে যায় আনন্দপুর থানার পুলিশ। যুবতীর পরনে সালোয়ার কামিজ ছিল। হাতে ছিল শাখা-পলা। আঙুলে আংটিও ছিল। শরীরের কোথাও বড় কোনও চোটের চিহ্ন না থাকলেও কপালের একদিক মাত্রাতিরিক্ত ফুলে ছিল। যুবতীর পরনের পোশাক-আশাক দেখে মনে করা হচ্ছে তিনি কোনও সম্ভ্রান্ত ঘরেরই মেয়ে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যুবতীর বয়স ৩০ বছরের আশপাশে। মনে করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে ওই যুবতীকে খুন করা হয়। এরপর দেহটি কম্বলে মুড়ে বস্তায় পোড়া হয়। অন্যত্র ওই যুবতীকে খুন করে চৌবাগার খালে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন:গুলিবিদ্ধ আরও এক ছাত্রের মৃত্যু, ইসলামপুরে বিজেপির বনধ ঘিরে উত্তেজনা চরমে]
চৌবাগা খাল সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন থানাকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। এই সব থানায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, পুলিশের অনুমান, যুবতী অন্য কোনও এলাকার বাসিন্দা। যেখান থেকে চৌবাগা খালের দূরত্ব অনেকটাই। কারণ যুবতী গৃহবধূর সাজ-পোশাক দেখে পরিষ্কার তাঁর পরিবারের স্থানীয় এলাকায় খুব একটা অপরচিত নয়। সুতরাং, আঁততায়ী কোনওভাবেই স্থানীয় এলকার খুব কাছে দেহ লোপাটের চেষ্টা করবে না বলেই তদন্তে নামা পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে অপহৃত পুলিশকর্মীদের তিনজনের দেহ উদ্ধার, নিখোঁজ একজন]
এই ঘটনার সঙ্গে সাংসারিক কোনও ঝামেলা জড়িয়ে আছে কি না তাও নজরে রাখা হয়েছে। আঁততায়ী যুবতীর শরীরে থাকা কোনও গয়না খুলে নেয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে নিছক ছিনতাই বা ডাকাতির উদ্দেশ্য়ে এই খুন নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও বড় কোনও ঘটনা।
[আরও পড়ুন: সোপিয়ানে বাড়ি থেকে অপহৃত চার পুলিশকর্মী, ফের আতঙ্ক ভূস্বর্গে]