বৃষ্টিতে বউবাজারের মেট্রোর ঘটনায় বাড়ল আতঙ্ক, প্রশ্ন উঠছে কর্তৃপক্ষের কাজ নিয়ে
সেবারও ভয় ধরিয়েছিল বৃষ্টি। এবারও ঠিক সেটাই হল। অশনির জেরে বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে মেট্রোর কাজের জন্য মাটির তলায় কাঁপুনি। সবমিলিয়ে থরহরি কম্প এবং আতঙ্কে মানুষ বুধবার রাত থেকেই বাড়ি ছাড়া শুরু করেছেন। আজ সকালেও একই পরিস্থিতি রয়েছে। মেট্রোর কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখছেন বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে কোন কোন বাড়ি গুলিতে ফের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

কেন বার বার ফাটল ধরছে কাজ করতে গিয়ে তা নিয়ে মেট্রোর উপর ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। কাল মধ্যরাতেই অনেকে লোটা কম্বল নিয়ে ঘর ছেড়েছেন বহু মানুষ। ২০১৯ সালে তাদের বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি পরিবারকে তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে হয়েছিল এবং ৩-৪ মাস হোটেলে থাকতে হয়েছিল। বেশ কিছু বাড়িঘর ভেঙে ফেলতে হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে মেট্রোর কোনও কৌশল নেই। ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পুলিশ তাদের চলে যেতে বললে বাসিন্দাদের কেবল তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েই তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
মূলত বউবাজারে আবার মেট্রো কাজ চলার কারণে দুর্গা পিতুরি লেন ১৫ নম্বর ১৬ নম্বর ১৭ নম্বর ১৮/১. ১৯ নম্বর বাড়িতে ফাটল শুরু হয়। ক্রমে ক্রমে ফাটল দেখা যায় আরও পাঁচটি বাড়িতে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। আতঙ্কে ঘর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন বাসিন্দারা। দুর্গা পিতরি লেন এ বসবাসকারী মানুষজন যে আবারও দুই বছর পর আবার সেই অতলে তা বলা যেতেই পারে। বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে হাজির পুলিশ বাহিনী ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের লোকজন, শুরু হয়েছে সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ।
বুধবার বিকেলে ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টার মধ্যে প্রথমে ফাটল দেখা দেয়। পরে সেই ফাটল আরও বাড়তে থাকে। তারপরই শুরু হয়েছে তৎপরতা। স্থানীয়রা মেট্রোর কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি। পুলিশ এসে বের করে নিয়ে যাচ্ছে বাসিন্দাদের।
ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে। পুরো বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা। কীভাবে বাড়িতে ফাটল তা তাঁরা খতিয়ে দেখেন। পরিস্থিতি কতটা বিপদজ্জনক তাও খতিয়ে দেখেন। এরপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রোর কাজ। মেট্রোর আধিকারিকদের প্রাথমিক ধারনা, ভূ-গর্ভে মাটি কাটার মেশিন বার করে নেওয়া হচ্ছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।