আত্মঘাতী নয়, খুন করা হয়েছে মণীশকে, দাবি পরিবারের
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ক্যাম্পাস অর্থাৎ সল্ট লেক ক্যাম্পাসের ইনফর্মেশন টেকনোলজি বিভাগের পড়ুয়া মণীশ রঞ্জন গতকাল আত্মঘাতী হন। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয়। ফাইনাল ইয়ারে পড়ছিলেন তিনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা চাকরি জোগাড় করতে হবে, এটা বলতেন বন্ধুদের। প্রথমে আমাজন ও পরে মাইক্রোসফট এসেছিল ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করতে। কিন্তু দু'টি কোম্পানির কেউই বাছাই করেনি মণীশ রঞ্জনকে। এতে তিনি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবার দুপুরে হস্টেলে নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে সহপাঠীরা এসে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শব উদ্ধার করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, হতাশার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন মণীশ। পুলিশও তাদের প্রাথমিক তদন্তের পর সেটাই জানায়।
অথচ আজ তাঁর পরিবার বলে, মণীশের কোমরে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কালশিটে ছিল। তাঁকে প্রহারের পর গলা টিপে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, মণীশ রঞ্জন ফুটবল খেলতেন নিয়মিত। শরীরের দাগগুলি খেলার মাঠে পাওয়া চোট। হস্টেলের ঘরে খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।