১৪ দিনের ইডি হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য! ই-মেল করে খোঁজ চাইলেন স্ত্রী
১৪ দিনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেফাজতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার দীর্ঘ জেরা শেষে মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ককে। আর এরপরেই আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে
১৪ দিনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেফাজতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার দীর্ঘ জেরা শেষে মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ককে। আর এরপরেই আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আইনজীবী মারফৎ তাঁরা জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড়সড় প্রভাবশালীরা জড়িত। এমনকি দুর্নীতির তদন্তে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলে জোরাল সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। বলে রাখা প্রয়োজন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডির হেফাজত
দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিককে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ শোনায় ব্যাঙ্কশাল আদালত। ১৪ দিনের জন্য ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই থাকবেন মানিক। ফলে আগামী ১৪ টা দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে আগামী কয়েকদিন একাধিক বিষয়ে জেরা করে দুর্নীতির সুত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
সবরকম ভাবে তদন্তকারীদের সাহায্য
তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জামিনের আবেদন জানাননি মানিক ভট্টাচার্যের তরফে আইনজীবী। ফলে সওয়ালে তাঁর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল সবরকম ভাবে তদন্তকারীদের সাহায্য করছিলেন। যদিও ইডির তরফে আইনজীবী কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেন। বলেন, দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এমনকি একটি চিঠি এবং সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। আর সেই সংস্থা ছেলের নামে। আর সেই সংস্থার নামে তৈরি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি।
স্বামীর খোঁজ করছেন বিধায়কের স্ত্রী।
একদিকে যখন আদালত মানিকের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনিয়েছে অন্যদিকে স্বামীর খোঁজ করছেন বিধায়কের স্ত্রী। মানিকের ভট্টাচার্যের আইনজীবী এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ইমেল করেছেন মানিকের স্ত্রী। যেখানে তাঁর স্বামী কোথায় আছে তা জানতে চাওয়া হয় বলে জানান আইনজীবী। যদিও গ্রেফতারের বিষয়টি যে পরিবারকে জানানো হয়েছিল বলেই দাবি ইডির। তাঁরা পালটা জানান, গ্রেফতারের পরে মানিকের ছেলেকে ফোন করা হয়েছিল। মূলত 'অ্যারেস্ট মেমো'র জন্য ফোন করা হয় বলে দাবি ইডির। এই সংক্রান্ত প্রমাণ আছে বলেও দাবি করা হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। যদিও এই বিষয়ে কিছুই মানিকের পরিবারের জানা নেই বলে সওয়াল আইনজীবীর।
SBI PO Recruitment: স্টেট ব্যাঙ্কে PO পদে ব্যাপক নিয়োগ, কীভাবে কোথায় আবেদন রইল