হাসপাতালে কুকুর-নিধনে গর্জে উঠলেল পশুপ্রেমীরা, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর নির্দেশ
১৭টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে নৃশংস হত্যার ঘটনায় গর্জে উঠল শহর কলকাতা। স্তম্ভিত পশুপ্রেমীরা আওয়াজ তুললেন এই আমানুষিক কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
১৭টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে নৃশংস হত্যার ঘটনায় গর্জে উঠল শহর কলকাতা। স্তম্ভিত পশুপ্রেমীরা আওয়াজ তুললেন এই আমানুষিক কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। স্থানীয় দুই পশুপ্রেমী অনিতা বসাক ও পুতুল সাহা হাসপাতালে ব্যাগের মধ্যে কুকুর শাবক দেখেই চমকে গিয়েছিলেন। তারপর প্লাস্টিক খুলতেই এক এক করে বেরিয়ে আসে ১৬টি কুকুরছানা।
তাঁরা তো প্রশ্ন তোলেনই, স্থানীয় মানুষেরাও গর্জে ওঠেন, কেন নিরীহ পশুকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন করা হল। অপরাধীকে শনাক্ত করে শাস্তির দাবি তোলেন স্থানীয় পশুপ্রেমী মানুষেরা। এদিনই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর সংস্থা রিপোর্ট তলব করে। অবিলম্বে পশুহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফোন করে এন্টালি থানায়। মানেকা গান্ধীর সংস্থা পিএফএ থেকে ফোন আসে।
এদিকে সারমেয় হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রত্যেক কুকুরছানার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তার মধ্যে দুটি কুকুরের লিভার ফেটে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর বড় কুকুরটির মৃত্যু হয়েছে মাথার খুলি ফেটে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, রক্তক্ষরণেই কুকুরের মৃত্যু। ময়নাতদন্তে এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আসার পরই কুকুর নিধন তদন্তে কমিটি গঠন করেছে এনআরএস। ডেপুটি সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন ঘটনাটি হাসপাতালের ভিতরেই ঘটেছে।