দল ছেড়েও মানসই পিএসি-র চেয়ারম্যান, জানালেন অধ্যক্ষ
কলকাতা, ২৬ সেপ্টেম্বর : দল ছেড়েও পদ ছাড়তে হচ্ছে না মানসকে। তৃণমূলে নাম লিখিয়েও সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদেই বলবৎ থাকছেন। সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন মানস ভুঁইয়ার বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেননি কেউ। তাই মানসবাবুর পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে থাকার ব্যাপারে কোনও সমস্যা নেই। তিনিই পিএসি-র চেয়ারম্যান থাকছেন।
এই পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। যার জেরে ৪৬ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনে মানসবাবু 'আসল কংগ্রেস' তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ভেঙে দিয়েছেন কংগ্রেসের কোমর। তবু তাঁর পিছু ছাড়েনি পিএসি-ইস্যু। আজও তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ।
এদিনই প্রথম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সবংয়ে মাটিতে পা রাখলেন মানসবাবু। অভ্যর্থনাও পেলেন।তৃণমূলকর্মীরা তাঁকে পেয়ে আপ্লুত হলেন। তৃণমূল কর্মীদের খুশি করতে মানসবাবু বলেন, 'বাংলার মা মমতা।' তিনি দলবদল করেই বলেছিলেন মমতাই আমার নেত্রী। তিনি তৃণমূলের কর্মীমাত্র। দল যা বলবে, তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।
এরই মধ্যে সেই অবধারিত প্রশ্নও তাঁকে শুনতে হল, পিএসি চেয়ারম্যান পদের কী হবে এবার? প্রশ্ন শুনেই তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এ প্রশ্নর উত্তর দিতে পারেন শুধুই অধ্যক্ষ। সেই উত্তরটাই এদিন পাওয়া গেল রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি সাফ জানালেন, এখনও পর্যন্ত মানসবাবুর বিধায়ক পদ খারিজের কোনও আবেদন তিনি পাননি। তাই তাঁর ওই পদে থাকা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, মানসবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন। তখনই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির নির্ধারিত বৈঠক ছিল। মানসবাবুর অবর্তমানে জটু লাহিড়ী এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন। বর্ষীয়ান বিধায়ক হিসেবে তাঁকেই এই সম্মান দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে অবশ্য কংগ্রেস বা বামফ্রন্টের কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। তৃণমূলের বিধায়করাই উপস্থিত ছিলেন মানসবাবুর অনুপস্থিতিতে পিএসি-র ওই বৈঠকে।