ফের ফেসবুকের ফাঁদ! চাকরির টোপে হোটেলের ঘরে ধর্ষিত হলেন তরুণী
ফের ফেসবুকের ফাঁদে যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন তরুণী। চাকরির টোপ দিয়ে হোটেলে ডেকে ধর্ষণ করল ফেসবুকের ‘অভিন্ন হৃদয়' বন্ধু। অভিযুক্ত যুবক চিত্তরঞ্জন পাত্র ওড়িশার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সে।
কলকাতা, ২৭ অক্টোবর : ফের ফেসবুকের ফাঁদে যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন তরুণী। চাকরির টোপ দিয়ে হোটেলে ডেকে ধর্ষণ করল ফেসবুকের 'অভিন্ন হৃদয়' বন্ধু। অভিযুক্ত যুবক চিত্তরঞ্জন পাত্র ওড়িশার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সে। বুধবার কলকাতায় এসে বেনিয়াপুকুরের একটি হোটেল ভাড়া করে ওই যুবক। সঙ্গে নিয়ে আসে জনা চারেক বন্ধুকেও। এরপর চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই তরুণীকে ডেকে পাঠায় চিত্তরঞ্জন।
চিত্তরঞ্জনের ফোনের পরই তাই হাতে স্বর্গ পেয়ে যান তিনি। দেরী না করে 'বন্ধু'র ডাকে ছুটে আসেন হোটেলে। তখনও তিনি জানতেন না কী অপেক্ষ করে রয়েছে তাঁর জন্য। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের তরুণী। ফেসবুকে পরিচয় চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে। অনলাইনে কথা হত। কথা হত ফোনেও। তখনই কথায় কথায় চিত্তরঞ্জনকে বলত- তাঁর চাকরির খুব দরকার। ফোনেই চিত্তরঞ্জন জানিয়েছিল, সে সবরকম চেষ্টা করবে একটি চাকরি খুঁজে দিতে। বুধবার ফোন করে সে জানায়, চাকরির জন্য শুধু একটা ইন্টারভিউ দিতে হবে।
সেজন্য বেনিয়াপুকুরে আসতে হবে তাঁকে। সেইমতো বেনিয়াপুকুরে হোটেলে পৌঁছয় তরুণী। সেখানে রাতভর তাঁকে আটকে ধর্ষণ করা হয়। তরুণী থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বলেন, চাকরির ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। ভেবেছিলাম সেখানে অন্য চাকরিপ্রার্থীরাও থাকবেন। ঘরের ভেতরে গিয়ে দেখি আমি একা। তারপর আমাকে ধর্ষণ করে চিত্তরঞ্জন। হোটেল কর্মীরা জানায়, চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে হোটেলের ঘরে আরও চারজন ছিল। চিত্তরঞ্জন ও তার সঙ্গীদের, এমনকী পারমিতাকে দেখেও অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি বলে জানান হোটেল কর্মীরা।
পুলিশ ওই তরুণীর অভিযোগের পাশাপাশি হোটেলকর্মীদের বয়ানকেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। অভিযুক্ত কীভাবে হোটেল থেকে পালিয়ে গেল, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হোটেল কর্মীদের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলে কোন পরিচয়ে ঢুকেছিল চিত্তরঞ্জন। বেনিয়াপুকুর থানা ও ওমেন গ্রিভ্যান্স সেল যৌথ তদন্ত করছে।