কলকাতায় চলন্ত বাসের মধ্যে যুবতীকে দেখে হস্তমৈথুন, চাঞ্চল্য মহানগরীতে
কলকাতার রাস্তায় চলন্ত বাসে ভরদুপুরে তরুণীকে দেখে হস্তমৈথুন করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি।
দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে অনেক ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে সারা দেশ উত্তাল হয়েছে। ধর্ষণ থেকে হস্তমৈথুন কোনও কিছুই বাদ যায়নি। এবার সেই ঘটনার জলছবি দেখা গেল শহর তিলোত্তমায়। কলকাতার রাস্তায় চলন্ত বাসে ভরদুপুরে তরুণীকে দেখে হস্তমৈথুন করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দিলেন এক যুবতী।
নিজের ফেসবুক পেজে সেই ঘৃণ্য ভিডিও শেয়ার করতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, মেয়েটি ও সম্ভবত সঙ্গে থাকা আর এক বন্ধুকে দেখে হস্তমৈথুন করছে ওই ব্যক্তি।
শুধু তাই নয়, লুকিয়ে হস্তমৈথুন করা নয়, রীতিমতো দেখিয়ে দেখিয়ে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করছে। যা পুরোটাই যুবতী রেকর্ড করেছেন। সঙ্গে পোস্টে লিখেছেন গোটা ঘটনার বৃত্তান্ত।
তিনি জানিয়েছেন, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ৩০বি/১ বাসে চেপে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা বাসের মধ্যে দেখেন ওই লোকটি অভদ্রতা শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও করতে শুরু করেন তিনি। বাসের কন্টাক্টরকে ঘটনা জানালেও কোনও সাড়া পাননি বলে তাঁর অভিযোগ।
উল্টে কন্ডাক্টর বলেন, 'কী করব বলুন, কার মনে কী আছে কী করে বুঝব?' যুবতী বাসের মধ্যেই চেঁচিয়ে লোকজনকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করেও সাড়া পাননি। লোকটিকে ধরার কথা বললেও কেউ যুবতীর সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।
তারপরই বাধ্য হয়ে তিনি প্রথমে ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে পুলিশেও অভিযোগ করেন। যে বাসটিতে তিনি উঠেছিলেন সেই বাসের নম্বর ৩০বি/১ ডব্লিউবি ২৫সি৬৬৩৮। শুধু তাই নয়, যুবতী জানিয়েছেন, এর আগেও একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। তবে সেবার ভিডিও করতে বা ছবি তুলতে পারেননি। তাই কাউকে জানাতে পারেননি। এদিন হাতে প্রমাণ পাওয়ায় তা সকলের সঙ্গে শেয়ার করছেন।
কলকাতা পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তে নামে। যুবতী কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ঘটনাটি জানান। আরও অনেকে একই ঘটনা কলকাতা পুলিশকে জানান। তার ভিত্তিতেই পুলিশ মামলা করেছে।
লোকটির ছবি হাতে নিয়ে গোটা কলকাতা চষে ফেলা হয়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টাতেই অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম অসিত রাই। শ্যামপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় হকার অসিতের বাড়ি বৈদ্যবাটিতে। সে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে। তবে একইসঙ্গে জানিয়েছে, আইন মেনে অভিযুক্তের শাস্তি হবেই। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ এই মামলাটি দেখছে।