তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা, ২৬ অগাস্ট : কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিনের বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশ জুরে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বশিক্ষা অভিযান, ১০০ দিনের প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন," সর্বশিক্ষার জন্য এখন রাজ্যকে ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হয় কারন কেন্দ্র সর্বশিক্ষার বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে ৪০ শতাংশ টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে"। ['বঙ্গ' নয় রাজ্যের নাম হচ্ছে 'বাংলা', ছাত্র পরিষদের সভায় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতার]
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "অনেক সহ্য করেছি। তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্র যদি এই সব ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত বদল না করে তাহলে পথে নেমে আন্দোলন করব "। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে নিয়ম করেছেন তাতে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামুলক বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও প্রত্যাহার করার দাবি তুলেছেন তিনি।[রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে 'ম্যানমেড বন্যা' বলে ডিভিসিকে তোপ মমতার]
রাজ্যের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সিপিএম এবং কংগ্রেসের সমালোচনা সরব হন। এদিন তিনি সিপিএম এবং কংগ্রেসের জোটকে 'নারদ মুনি' জোট বলে কটাক্ষ করেন। রাজ্যের ঋণের প্রসঙ্গে সিপিএমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "সিপিএম-এর পাপের বোঝা আমাকে বহন করতে হচ্ছে। ওরা ধার করে গেছে আর আমাকে মাসে মাসে সেই ঋণ শোধ করতে হচ্ছে।" উল্লেখ্ আগামী ২ রা সেপ্টেম্বর বাম শ্রমিক সংগঠন গুলি দেশজুরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, " শ্রমিকদের দাবি আমরা সমর্থন করলেও ধর্মঘটকে আমরা সমর্থন করছি না। সরকার পথে নেমে ধর্মঘটের মোকাবিলা করবে"।
এদিনের সমাবেশ মঞ্চ থেকে মুখমন্ত্রী ফের রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে 'ম্যানমেড বন্যা' বলে ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ আঙুল তোলেন। এছাড়াও টেট পরীক্ষায় নিয়োগের প্রসঙ্গে বলেন, "মামলা তুলে নিলে ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে দেব"। শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাজ্য সরকার। ৬৫ হাজার শিক্ষক পদ তৈরি হয়ে আছে।
এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, শুভেন্দু অধিকারী, স্বপন দেবনাথ, শোভন চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও হাজির ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা।