পাহাড়-যুদ্ধে শহিদ এসআইয়ের পরিবারকে জোড়া চাকরি, ঘোষণা মমতার সরকারের
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, অমিতাভের স্ত্রী চাকরি পেতেনই। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির কথা ভেবেই অমিতাভের বাবাকেও চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে হিংসা দমন করতে গিয়ে নিজেই হিংসার শিকার হয়েছেন এই পুলিশ অফিসার। কর্তব্যপালনে গিয়ে নিহত সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। অমিতাভের স্ত্রী ও বাবাকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল মমতার সরকার। সেইসঙ্গে পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হল।
শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন নিহত এসআই-এর স্ত্রীকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে। চাকরি দেওয়া হবে অমিতাভের বাবাকেও। পার্থবাবু জানান, তাঁকে নিযুক্ত করা হবে স্কুল শিক্ষা দফতরে। বারাসত বা মধ্যমগ্রামে শিক্ষা দফতরের কোনও অফিসে তাঁকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন আরও জানান, শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে একটি প্রতিনিধি দল যাবে মধ্যমগ্রামে এসআই অমিতাভ মালিকের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি নিজে যাবেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁর সঙ্গে যাবেন আর এক মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।
শনিবার সকালেই পাহাড় থেকে নিহত এসআই অমিতাভের দেহ আসবে বাড়িতে। তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। তারপরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। খুবই অভাবী পরিবারে জন্ম হয়েছিল অমিতাভের। মেধাবী অমিতাভ অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং মুম্বইয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁর পড়াশোনা করা হয়নি। পরে নিজের কৃতিত্বে তিনি পুলিশের চাকরি পান।
রাজ্যের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, অমিতাভের স্ত্রী চাকরি পেতেনই। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির কথা ভেবেই অমিতাভের বাবাকেও চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অর্থ বা চাকরি দিয়ে এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়, তবু পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি নিহত হওয়ায় সরকারের পক্ষে পাশে দাঁড়াতেই এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল।