মমতার অপছন্দের কুণাল ঘোষ কলকাতা টেলিফোনসের উপদেষ্টা! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে জল্পনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন নরেন্দ্র মোদীহীন জাতীয় সরকারের দাবিতে জোর সওয়াল করলেন, সেদিনেই মমতার দলের অপছন্দের সাংসদ কুণাল ঘোষকে কলকাতা টেলিফোনসের উপদেষ্টা পদে নিয়োগের চিঠি দিল কেন্দ্র।
কলকাতা, ৭ জানুয়ারি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন নরেন্দ্র মোদীহীন জাতীয় সরকারের দাবিতে জোর সওয়াল করলেন, সেদিনেই মমতার দলের অপছন্দের সাংসদ কুণাল ঘোষকে কলকাতা টেলিফোনসের উপদেষ্টা পদে নিয়োগের চিঠি দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তবে কি শিবির বদল করছেন কুণাল ঘোষ? এই প্রশ্নই এখন উঠে পড়েছে রাজনীতির অন্দরে।
এখনও তিনি তৃণমূলের সাংসদ। হতে পারেন বহিষ্কৃত। কিন্তু তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যই তিনি। সারদা-যোগে দলের সঙ্গে এই মুহূর্তে তাঁর সম্পর্ক এরপ্রকার ছিন্নই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিজেপি কি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে? সেই কারণেই কি কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের এই চিঠি?
পুজোর আগে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। দীর্ঘ তিন বছর কারাবাসের পর এখন জামিন মুক্ত তিনি। এরই মধ্যে শুক্রবার স্থায়ী জামিন পান তৃণমূলের সাসপেন্ডেড এই সাংসদ। তারপরই সুখবরটা এল। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক চিঠি দিয়ে তাঁকে প্রস্তাব দিল, কলকাতা টেলিফোনসের উপদেষ্টা হতে।
সম্প্রতি রোজভ্যালিকাণ্ডে তৃণমূলের দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পাল গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্টো সুর শোনা গিয়েছে কুণালের গলায়। তিনি জানিয়েছেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাপস পালের গ্রেফতারি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকেই। তিনি এমন প্রশ্নও তোলেন, আমি না হয় সারদায় চাকরি করতাম, টাকা নিতাম। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রোজভ্যালি থেকে কেন টাকা নিতেন?
যাই হোক, তৃণমূলে চূড়ান্ত এই ডামাডোলের মধ্যে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের একটি চিঠিতে জল্পনার পারদ চড়ছে। নয়াদিল্লির সঞ্চার ভবন থেকে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যানকেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই বিষয়টি। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত কুণাল ঘোষ কলকাতা টেলিফোনসের অ্যাডভাইসারি কমিটির চেয়ারম্যান বা ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।