‘সিটি অফ জয়’ লন্ডন হবে ২০২০-তেই! মমতার স্বপ্নের ‘কলকাতা আই’কে ছাড়পত্র
‘লন্ডন আই’য়ের ধাঁচে ‘কলকাতা আই’-কে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র দিল। চারদিন আগেই সেই ছাড়পত্র এসেছিল নবান্নে। এবার ঘোষণা হল শিলান্যাসের দিনক্ষণ।
বিশ্ববাংলা লোগোর সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পরই আরও এক স্বপ্নপূরণের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'লন্ডন আই'য়ের ধাঁচে 'কলকাতা আই'-কে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র দিল। চারদিন আগেই সেই ছাড়পত্র এসেছিল নবান্নে, তারপর শনিবার নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল আগামী ২৪ জানুয়ারি মিলেনিয়াম পার্কে 'কলকাতা আই'-এর শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই লন্ডনের ধাঁচে কলকাতা শহর গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তখনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গার উপর হবে 'কলকাতা আই'। টেমসের উপর 'লন্ডন আই'-এর ধাঁচেই কলকাতা ও হাওড়ার মাঝে গঙ্গার উপর এই নান্দনিক সৌন্দর্যের কীর্তি স্থাপন করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেইমতোই তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রকের কাছে। পরিবেশমন্ত্রক তা অনুমোদন করে দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২০-তেই কলকাতা আই-এর দর্শন করতে পারবেন রাজ্যবাসী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই নামছেন 'কলকাতা আই' গড়তে।
ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে যেমন অন্যতম আকর্ষণ 'লন্ডন আই'। নদীর উপর সুবিশাল এই নাগরদোলা এবার সেই আদলেই গড়ে তুলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে 'কলকাতা আই'- তাই চান মমতা।
প্রথমে হাওড়ার দিকে এই 'কলকাতা আই' গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে মত পরিবর্তন করে মিলেনিয়াম পার্কে এই প্রকল্প গড়ে তোলার ব্যাপারে সিলমোহর দেয় রাজ্য। এতদিন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল। তা মিলে যেতে আর কোনও বাধা রইল না 'কলকাতা আই' গড়ে তুলতে।'কলকাতা আই' হলে ব্রিটেন, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেপর পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতা হবে বিশ্বের চতুর্থ'আই'।
এই প্রকল্পের ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবং রাজ্য সরকার যে পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে, তাতে বিশ্বের সর্বোচ্চ নাগরদোলা পেতে চলেছে কলকাতাই। কেননা এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগোসে সবথেকে উঁচু নাগরদোলা রয়েছে। যার উচ্চতা ১৬৭-৬ মিটার।'কলকাতা আই'য়ের উচ্চতা রাখার চেষ্টা হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ মিটারের মধ্যে। সেক্ষেত্রে কলকাতা পাবে সর্বোচ্চ নাগরদোলা।