৩০ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা! দেখা হতে পারে সনিয়ার সঙ্গে
৩০ জুলাই সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ জুলাই মঙ্গলবার দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভাষণ দেবেন তিনি। মঙ্গল ও বুধবার দিল্লিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন।
৩০ জুলাই সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ জুলাই মঙ্গলবার দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভাষণ দেবেন তিনি। মঙ্গল ও বুধবার দিল্লিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন। ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর সলতে পাকাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর।
৩১ জুলাই দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে 'ভারত নামক ভাবনা' নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সামনে বক্তব্য পেশ করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফরে সংসদের সেন্ট্রাল হলেও যাওয়ার কথা হয়েছে। সেখানে আঞ্চলিকদলগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী।
এবারের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলা। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলগুলির মধ্যে মতভেদ রয়েছে। জেডিএস ইতিমধ্যেই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকে নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। এর বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে মায়াবতী ও লালুর দল। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাহুল গান্ধীও তাঁর স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করেছেন।
নরেন্দ্র মোদী ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির একটি বিজনেস স্কুলের আমন্ত্রণে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই সময় গোধারা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন মোদী। সেই পরিস্থিতিতে দেখতে গেলে, মোদীকে অনুসরণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কলেজের ভাষণে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে অপপ্রচারের জবাব মুখ্যমন্ত্রী দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
৩১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফরে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন সেন্ট স্টিফেন কলেজে আমন্ত্রণী ভাষণ দেওয়া ছাড়াও একটি খ্রিস্টান সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিল্লির বিশপদের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ ১ অগাস্ট সংসদের সেন্ট্রাল হলে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন। আঞ্চলিক দলগুলিকে ১৯ জানুয়ারির জন্য এখন থেকেই আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখতে চান তৃণমূল নেত্রী।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে পারেন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। কেননা তিনি চান, ১৯ জানুয়ারি ব্রিডেগের সভায় যোগ দিন সনিয়া গান্ধী।