কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশন হবে কলকাতায়, হেগ থেকে ঘোষণা মমতার
যাদের সেবায় এই প্রকল্প, তাদের বাদ দিয়ে কি সেলিব্রেশন হতে পারে? তাই বাংলার কন্যাশ্রীদের নিয়েই অনুষ্ঠানের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর।
জগৎসভায় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করেছে কন্যাশ্রী। এবার উৎসবের তোড়জোড় শুরু। বাংলার কন্যাশ্রীদের নিয়েই এই উৎসব উদযাপন করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক হয়েছে, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জুলাইতেই হবে বিশ্ব জয়ের সেলিব্রেশন। অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য সমাজকল্যাণ দফতরের সচিব রোশনি সেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার কন্যাশ্রী রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলন থেকে সেরার পুরস্কার অর্জন করার পর রাজ্যজুড়ে বিজয় উৎসব শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জন পরিষেবায় বিশ্বের দরবারে এই সেরার স্বীকৃতি উচ্চাসনে তুলে ধরেছে বা্ংলা তথা দেশকে। তার সেলিব্রেশন মহাসমারোহে হবে না, তা হয় নাকি? একপ্রস্থ সেলিব্রেশন অবশ্য হয়ে গিয়েছে নেদারল্যান্ডসেই। হোটেলে ফিরেই কেক কাটা হয়েছে। অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
এবার বাংলায় ফিরে আসল সেলিব্রেশনের পালা। যাদের সেবায় এই প্রকল্প, তাদের বাদ দিয়ে কি সেলিব্রেশন হতে পারে? তাই তাদের নিয়েই অনুষ্ঠানের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। সেইমতোই সমস্ত প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে সমাজকল্যাণ দফতরকে। প্রস্তুতিও চলছে। পুরো বিষযটি তদারকির দায়িত্ব রয়েছেন দফতরের সচিব রোশনি সেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছরও কন্যাশ্রী রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সেসাইটি কর্তৃক পুরষ্কৃত হয়েছিল। এবার কন্যাশ্রীকে জন পরিষেবায় সেরার স্বীকৃতি দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। বিশ্বের ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে হারিয়ে তৈরি হল নতুন এক মাইল ফলক।
সমাজ কল্যাণ দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে ৪০ লক্ষ ৩১ হাজার ছাত্রী। কন্যাশ্রীর সাফল্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে ৫৬ শতাংশ। বাল্যবিবাহ কমেছে ৩৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানে ভর করেই কন্যাশ্রী কিস্তিমাত করেছে বিশ্বসভায়।