২টো গেলে ১০টা আসবে দলে! ঘ্যাচ করে কাদের নাম কাটার হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা
শুধু ২-১৯-এর লক্ষ্যে রোড ম্যাপ তৈরিই করলেন না, দলরে নেতা-কর্মীদের দিয়ে রাখলেন হুঁশিয়ারিও। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, ২টো গেলে ১০টা আসবে।
শুধু ২০১৯-এর লক্ষ্যে রোড ম্যাপ তৈরিই করলেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে রাখলেন হুঁশিয়ারিও। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। দলের পাশে থাকতে কাজ করতে হবে। তা না হলে দল দেখবে কিছুদিন। তারপর ঘ্যাচ করে নাম কেটে দেবে। মনে রাখবেন, ২টো গেলে ১০টা আসবে।
দলে থাকার শর্ত
এদিন একেবারে নাম করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগলেন। খগেন মুর্মু থেকে দুলাল মুর্মু, সুকুমার হাঁসদা অনেকের নামই করলেন, আবার অনেকের নাম করলেন না। তিনি জানিয়ে দিলেন, কারা কী করছেন, সব আমার নখদর্পণে। দলে থাকতে হলে কাজ করতে হবে। কারণ মানুষ আপনাকে নির্বাচিত করেছে, ঘরে বসে থাকার জন্য নয়। মমতা বলেন, যে কাজ করবেন না। তাঁকে দলে চাই না। দল কিছুদিন দেখবে, তারপর নাম কেটে দেওয়া হবে। ২ জনকে ছেঁটে দিয়ে ১০ জনকে নিয়ে আসব। তৃণমূলে থাকতে গেলে কাজ করতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। তা না হলে স্থান হবে দলের বাইরে।
সতর্কবাণী মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সতর্ক করেন ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম নেতৃত্বকে। জঙ্গলমহলের কিছু মানুষকে উসকে ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে মাও-আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আরএসএস বাইরে থেকে লোক এনে এলাকায় বসে আছে, তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ খোদ মমতার। তিনি বলেন, কেন তারা এর মোকাবিলা করছেন না।
সব দিদি করে দেবে না
মমতা দলের নেতা-নেত্রীদের বলেন, আর ঘরে বসে থাকবেন না। জনপ্রতিনিধি হয়েছেন মানুষের কাজ করার জন্য, একথা সবার আগে মনে রাখবেন। সব কিছু দিদি করে দেবে, আপনারা শুধু ভোটে দাঁড়াবেন, তা হবে না। দল কিছুদিন দেখবে, তারপর ঘ্যাচ করে নাম কেটে দেবে। যে কাজ করবে না, তাকে আমাদের দলে দরকার নেই।
আপনারা না ডাকলে আমি ডাকব
যাঁরা দূরে সরে আছেন, তাঁদের ডেকে আনুন। ঘরটাকে আরও বড় করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতেই কড়া বার্তা দিলেন দলের নেতা-নেত্রীদের। তিনি যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানবেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন। তিনি বলেন, আপনারা না ডাকলে আমি তাঁদের ফিরিয়ে আনব।
এবার সময় দেওয়ার
এদিন কোর কমিটির বৈঠকে মমতার স্পষ্ট বার্তা, সরকারের কাটমানি নিয়ে আমি দল চালাই না। দল চালাই নিজের পয়সায়। উপার্জনের পয়সায়। তিনি এ বিষয়ে এবার দলের নেতাদের বার্তা দেন, আর অনেক কিছু আপনারা পেয়েছেন, এবার আপনাদের দেওয়ার সময়। চাওয়া বন্ধ করুন, দেওয়া শুরু করুন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ‘গদ্দার'-রাই মাওবাদী তৈরি করছে! শুভেন্দুর নামে পোস্টারে তোপ মমতার]
বামপন্থীরা ব্রাত্য নয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট করে দেন, বামপন্থীরা ব্রাত্য নয় তৃণমূলে। যে সমস্ত বামপন্থীরা আসতে চান, তাঁরা যদি আদর্শ হন, তবে তাঁদেরকে দলে নিন। সকলের যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। কাউকেই দূরে সরিয়ে রাখলে হবে না। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। দলে থেকে শুধু নিজে কী হয়েছি, কোন অবস্থানে আছি, তা ভাবলে হবে না। এক মুহূর্তেই সেই পদ চলে যাবে।
[আরও পড়ুন: উনিশের রোডম্যাপ তৈরি করে ফেললেন মমতা, লোকসভার লক্ষ্যপূরণে ১২ দাওয়াই]