বাংলায় বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের সমাবেশ, কোন কোন ক্ষেত্রে ফোকাস করতে পারেন মমতা
করোনাকাল কাটিয়ে দু-বছর পর বাংলায় বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলন থেকে বিপুল বিনিয়োগের আশায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেইসঙ্গে তাঁর লক্ষ্য কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন।
করোনাকাল কাটিয়ে দু-বছর পর বাংলায় বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলন থেকে বিপুল বিনিয়োগের আশায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেইসঙ্গে তাঁর লক্ষ্য কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জোর দিতে চাইছেন। চাইছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে জোর দিতে।
বিশেষ সূত্রের খবর, এবার রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে ৬টি বিষয় তুলে ধরতে চাইছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এর মধ্যে মমতা বন্যোযেপাধ্যায় উত্তরবঙ্গকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি চাইছেন উত্তরবঙ্গে আরও বেশি বিনিয়োগ হোক। রাজ্যের হাতে জমি আছে, তাই শিলিগুড়িতে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়ে তোলা থেকে ডাবগ্রামে ক্ষুদ্রশিল্প পার্ত গড়ে তুলতে আগ্রহী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য উত্তরবঙ্গের ওই দুই শিল্পে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। সেইসঙ্গ কৃষি ক্ষেত্রে শিল্প সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি। বিপণনে জোর দিয়ে তিনি শিল্পের সঙ্গে কৃষির মেলবন্ধন ঘটাতে বদ্ধপরিকর। বাংলার বিভিন্ন জেলায় উর্বর জমিকে তিনি কাজে লাগাতে চাইছেন কৃষি-শিল্পের প্রসারের ক্ষেত্রে।
কৃষি বিপণনে রফতানি বাড়াতে উদ্যোগী মমতা। তাহলে প্রান্তিক চাষিরা লাভবান হবে বলে তিনি মনে করছেন। একইসঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকেও জুড়ে দিতে পারবেন। কৃষির সঙ্গে শিল্পকে জুড়ে দিয়ে প্রসার বৃদ্ধি করার দিকে নজর বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে। কৃষি দফতরকে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো মমতা বন্যো ্পাধ্যায় পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।
শুধু দেশের শিল্পপতিরাই নন, বিদেশ থেকে শিল্পপতি-বিনিয়োগকারীরা আসছেন বাংলার বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে। ৪৯ ব্রিটিশ লগ্নিকারী আসছেন। এছাড়া আমেরিকা, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া জার্মানি, বাংলাদেশ, ভুটান, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, জাপান, কেনিয়া-সহ ১৯টি দেশ প্রতিনিধিরা আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রিত হয়ে। মোট ২৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
ভারতের শিল্পপতিদের মধ্যে মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানিরাও এবার বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন। কুমারমঙ্গলম বিড়লা, সঞ্জীব মেহতা, সজ্জন জিন্দল-রা তো থাকছেনই, এছাড়াও থাকছেন আর বি মিত্তল, ওয়াই কে মোদি, নিরঞ্জন হিরানান্দানি, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, ওয়াই সি দেবেশ্বর, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, উমেশ চৌধুরী, পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, পুনীত ডালমিয়া-সহ আরও অনেক শিল্পপতি।
এবার শিল্পে বিনিয়োগ টানাই মূল লক্ষ্য মমতার সরকারের। কৃষিজ শিল্পের পাশাপাশি গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় বিনিয়োগে জোর দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়া। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সিঙ্গুর নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন শিল্পেও বড় বিনিয়োগ আশবে বলে আশাবাদী রাজ্য। রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিকাঠামো তুলে ধরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় শিল্পের জমির ঠিকানাও জানাবেন তিনি। লক্ষ্য কর্মংস্থান ও শিল্পায়ন।