‘ডিজিটাল’-ভোট নিশ্চিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে চান মমতা, লক্ষ্য ২০১৯
২০১৯-এর যুদ্ধে ডিজিটাল-দুনিয়াকে পাথেয় করে রণনীতি তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডিজিটাল মাধ্যম থেকে অন্তত ১০ শতাংশ ভোট নিজের দিকে আনতে বদ্ধপরিকর। সেই কারণে তিনি এখন থেকেই তাঁর সোশাল মিডিয়া টিম প্রস্তুত রাখছেন। নজরুল মঞ্চে ডিজিটাল কনক্লেভে তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন দলকে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোশাল মিডিয়ার যুগে ক্ষমতার উৎস হল তথ্য। সেই তথ্য পরিবেশনেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ফেক নিউজকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে সঠিক পথে। সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমেই ডিজিটাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে এগোতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনে জয়লাভ করতে মূল হাতিয়ার ডিজিটাল মিডিয়া। ডিজিটাল দুনিয়ায় বিপ্লব না আনলে কোনও দলই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।
সেই কারণেই ২০১৯-এর লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তো রাখতেই হবে, তার সঙ্গে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশাল সাইটেও নানা তথ্য পরিবেশন করতে হবে। লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বাড়াতে হবে। মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিতে হবে সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তগুলিকে। এই প্রচার বর্তমান সময়ে খুবই জরুরি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন. সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের রমরমা বাড়ছে। সেগুলিকেও চিহ্নিত করতে হবে। কেননা এই ভুয়ো খবরগুলিকে আটকানো না গেলে মুশকিল। সরকারের পক্ষেও মুশকিল, দলের পক্ষেও মুশকিল। একটা শ্রেণি ফেক নিউজ প্রচার করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ফলে অশান্ত হচ্ছে রাজ্য। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে খাটো করে দেখানোক চেষ্টা রুখতেই হবে।
তিনি বলেন, বিজেপি-সহ বিরোধীদের এই কুৎসা রুখতে মাধ্যম করতে হবে ডিজিটাল মিডিয়াকেই। প্রয়োজনে হিন্দি ভাষাকে বেশি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি মনে করেন, সোশাল মিডিয়া প্রচারকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যেখান থেকে অন্তত ১০ শতাংশ ভোট আদায় করা যায়। লক্ষ্যপূরণে তিনি দলের সোশাল মিডিয়া সেলকে আপও সক্রিয় হতে পরামর্শ দিয়েছেন। দলের সোশাল মিডিয়ার মধ্যে সুস্থ প্রতিযাগিতা শুরু করার নির্দেশ জারি করেছেন।