‘সৌভাগ্য’ আসছে বাংলার বুকে! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও এক উদ্যোগ মমতার
পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের গরিব মানুষদের নিখরচায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের ‘সৌভাগ্য’ প্রকল্পে ১৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন।
বাংলাকে সেরার সেরা করাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সেই উদ্যোগে নতুন করে জুড়ল আরও একটি প্রকল্প। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের গরিব মানুষদের নিখরচায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে অবিলম্বে নয়া পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের 'সৌভাগ্য' প্রকল্পের কাজ যত শীঘ্র সম্ভব শুরু করতে ১৯২ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শোভনবাবু জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারে 'সৌভাগ্য' নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। সেই প্রকল্পে গ্রামীণ মানুষদের বিনা খরচে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। কেন্দ্র দেবে ৬০ শতাংশ টাকা। আর ৩০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য। বাকি ১০ শতাংশ টাকা দিতে হবে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে। এই প্রকল্প পঞ্চায়েতের আগেই শুরু করতে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই তোড়জোড় শুরু হয়েছে দফতরের।
এই প্রকল্প রূপায়ণে একটি বিশেষ প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। ২০১৮-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারলে প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যপূরণও করতে চাইছে রাজ্য সরকার। আপাতত স্থির হয়েছে, ২ লক্ষ ৫৩ হাজার গ্রাহককে 'সৌভাগ্য' প্রকল্পে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন দলত্যাগী আরও এক! মুকুলের প্রতিক্রিয়ায় উল্টো জল্পনা]
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টাকার অভাবে বিদ্যুৎ নেননি দেড় লক্ষ গ্রাহক। আরও প্রায় তিন লক্ষ বাড়িতে নানা সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই নয়া প্রকল্পে তাঁদের মধ্যে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে। বাকি দু-লক্ষের মতো পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেও রাজ্য নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কয়েকটি দ্বীপাঞ্চল, কোচবিহার, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। আরও অন্যান্য জেলায় বিক্ষিপ্ত সমস্যা রয়েছে। সেইসব সমস্যা মিটিয়ে গোটা বাংলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে তৎপর মমতার সরকার। দ্বীপাঞ্চলগুলিতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছতে বিকল্প ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বিকল্প উপায় অবলম্বন করে বিদ্যুতায়ন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শোভনদেববাবু।