সরকারি বৈঠক থেকে ব্যয় সংকোচনের বার্তা! মেনুতে বাদ পাঁঠার মাংস-গলদা চিংড়ি
নবান্ন থেকেই শুরু হল সরকারি খরচে লাগাম টানার চেষ্টা। সেটা শুরু হল সরকারি খরচে লাগাম টানার সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকেই। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়নে রীতিভাঙার ছাপ ছিল স্পষ্ট।
নবান্ন থেকেই শুরু হল সরকারি খরচে লাগাম টানার চেষ্টা। সেটা শুরু হল সরকারি খরচে লাগাম টানার সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকেই। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়নে রীতিভাঙার ছাপ ছিল স্পষ্ট। পাঠার মাংস কিংবা গলদা চিংড়ির কোনও পদ ছিল না সেখানে। আয়োজনে গৃহস্থের ছাপ ছিল স্পষ্ট।
বৈঠকের শুরুতে ছিল চা-কফি বিস্কুট। বৈঠকের শেষে ছিল সাদামাঠা দুপুরের খাবার। তাতে ছিল সাদা ভাত, শুক্ত, ডাল, পোনা মাছের ঝোল, চাটনি, দই, রসগোল্লা।
তবে এর আগেই অবশ্য সরকারের তরফে ১২ টি দফতরকে অন্য দফতরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। গাড়ির ব্যবহার কমানো থেকে শুরু করে তুলে দেওয়া দফতরগুলির আলাদা বাজেট সব কিছু বাদ দেওয়া হয়েছিল আগেই। প্রয়োজনীয়তা যাতে উপেক্ষিত না হয়, সেইজন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের খরচ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি নবান্নে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিবও। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও এবছরে ৪৬ হাজার কোটির ঋণ শোধ করতে হবে। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যসচিব মলয় দে ২ জুলাই খরচ কমাতে ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। তাতে সচিবদের দিল্লি কিংবা বিদেশ সফরের ওপরও বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়। নতুন গাড়ি কেনা কিংবা এয়ারকন্ডিশনার লাগানো সবকিছুর ওপর নিধেষাজ্ঞা জারি করা হয়। বিমানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেতে হবে ইকোনমি ক্লাসে।
কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এগুলিকে চালু রেখেই খরচ কমানোর বার্তা দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন রাজ্যের কর্মীদের ডিএ দিতে ৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। ভুল টেন্ডার বন্ধ করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খরচ কমাতেই হবে। তবে পরিষেবায় হাত নয়।