
২১ জুলাইয়ের সভাস্থল নিজেই ঘুরে দেখলেন মমতা, যানজটের সমস্যার জন্য আগাম ক্ষমা চেয়ে নিলেন
২ বছর পর হচ্ছে ধর্মতলায় শহিদ স্মরণ। তার প্রস্তুতি চরমে। ধর্মতলার সভাস্থলের প্রস্তুতি ঘুরে দেখতে িনজেই হাজির হয়েছিলেন িটএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪৩ ফুট বাই ৮০ ফুটের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে ধর্মতলায়। তাতে ৫০০ জন বসা যাবে এমনই বিশাল হচ্ছে মঞ্চ। এদিন সভাস্থল ঘুরে দেখে শহরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে িনয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহিদ সমাবেশের জন্য বিপুল যানজট তৈরি হবে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

সভাস্থল পরিদর্শনে মমতা
সকাল ফেসবুকে ভিডিও বার্তা। দলীয় কর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে সভাস্থলে আসার অনুরোধ। তরপরই বিকেলে তিনি ছুটে যান ধর্মতলায়। সেখানে সভাস্থল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্তরী। তিিন খতিয়ে দেখেন মঞ্চের প্রস্তুতি। এবারে বিশাল আয়তনের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের উচ্চতাও অনেকট বাড়ানো হয়েছে। কারণ ২ বছর পর শহিদ সমাবেশে লাখো লোকের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সকলে যাতে মঞ্চ দেখতে পান তার জন্য মঞ্চের উচ্চত বাড়ানো হয়েছে।

ক্ষমা চাইলেন মমতা
এদিন সভাস্থল পরিদর্শন করে শহরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'কাল একটু ভিড় হবে। রাস্তাতেও যানজট হবে। আপনার প্লিজ একটু মানিয়ে নেবেন। ২ বছর পর বছর বাদে এই কর্মসূচি হচ্ছে। কোভিডের জন্য আমরা এই কর্মসূচি করতে পারিনি। মানুষের জন্যই এই কর্মসূচি।' আজ রাত ৯টা থেকেই শহরের একাধিক রাস্তায় যান িনয়ন্ত্রণ শুরু হয়ে যাবে। ভোর তিনটে থেকে শহরে কোনও যান ঢুকবে না। আগামীকাল সেকারণে অনেক স্কুলই ছুটি ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে মধ্য কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

রেকর্ড ভিড় হবে
২ বছর পর ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশে রেকর্ড ভিড় হবে বলে দাবি করেছে টিএমসি। এবারের বিশেষ সমাবেশ । একে তো ২ বছর পর সমাবেশ তার উপরে আবার একুশের বিপুল জয়। একুশের শহিদ সমাবেশ এক প্রকার বিজয় সমাবেশে পরিণত হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সঙ্গে ২০২৪-র লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেবেন টিএমসি সুপ্রিমো। গোটা দেশে সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দেবেন তিনি। কেন্দ্রের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেও এদিন সরব হবেন মমতা। এমনই মনে করা হচ্ছে।

দলীয় কর্মীদের বার্তা
এদিন মঞ্চ পরিদর্শন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে জমায়েতে আসার অনুরোধ
জািনয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, 'রাস্তা দিয়ে যখন গাড়ি যাবে সাবধানে রাস্তা পার হবেন। কেউ বেশি জোরে গাড়ি চালাবেন না। আস্তে আস্তে গাড়ি চালাবেন এবং সাবধানে কর্মীদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। একাধিক জেলার উপর দিয়ে গাড়িগুলি আসবে। জেলার নেতাদের অনুরোধ করব, অন্য জেলার কোনও গাড়ি রাস্তায় খারাপ হয়ে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে যেন দেখে নেওয়া হয়।'