মহরমে অস্ত্র প্রদর্শন নয়! আবেদন মমতার, বেনজির সিদ্ধান্তে নিশানায় সেই বিজেপি
মহরমে তলোয়ার ও লাঠি খেলা হবে না বলে বেনজির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল বীরভূমের বোলপুর তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের বৈঠকে। এবার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং আবেদন জানালেন।
মহরমে তলোয়ার ও লাঠি খেলা হবে না বলে বেনজির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল বীরভূমের বোলপুর তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের বৈঠকে। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে আবেদন জানালেন, মহরমের শোভাযাত্রায় তলোয়ার প্রদর্শন না করার। সবপ্রকার অস্ত্র প্রদর্শনেই তিনি রাশ টানলেন এভাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, তাজিয়া বের করুন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করুন। শান্তির বাণী দিন। কিন্তু দয়া করে অস্ত্র প্রদর্শন করবেন না। বর্ণময় তাজিয়ায় মহরম পালন করে নিদর্শন স্থাপন করুন। মুখ্যমন্ত্রী এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
বিজেপি রামনবমী থেকে শুরু করে হনুমানজয়ন্তী- সব কিছুতেই অস্ত্র মিছিলের চল শুরু করেছে সম্প্রতি। তারা অস্ত্র মিছিল করে এলাকাকে উত্তপ্ত করছে। সেই অস্ত্র মিছিলে রাশ টানতেই এবার মহরমে অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে ঐক্যমত্য হয়েছে সরকার ও মুসুলম সংগঠনগুলি। তাজিয়া নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল করেই বর্ণময় মহরম পালন করতে তৎপর সংখ্যালঘু সেলগুলিও।
[আরও পড়ুন:মহরমে আর তলোয়ার-লাঠিখেলা নয়! বেনজির সিদ্ধান্তে অনুব্রতর নিশানায় বিজেপি]
দলের নেতারা জানিয়ছেন, সামনেই মহরম। অথচ কোথাও অস্ত্র বা লাঠি খেলার অনুশীলন হচ্ছে না। সপ্তম শতাব্দীতে কারবালার যুদ্ধে বিশ্বনবি হজরত মহম্মদের নাতি হুসেনের হত্যার প্রতীকী স্বরূপ তরোয়াল আর চেন প্রদর্শন হয়ে আসছে। তবে কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম মওলানা শাফিক কাসমিও মহরমে মুসলিমদেরকে তরোয়াল প্রদর্শন না করার আহ্বান জানান। আসানসোলের ইমাম মওলানা ইমদাদুল রশিদিও দাবি করেন, মহরমের সময় তলোয়ার ব্যবহার করা অ-ইসলামিক।
[আরও পড়ুন:৫০ হাজার টাকা জেতার মহার্ঘ সুযোগ, ভুলেও হাতছাড়া করবেন না, তবে সাবধান]
গতবারও মহরম ও দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে বিতর্ক হয়। দুটি উৎসবই একই দিনে পড়ে যাওয়ায় মহরমের জন্য দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবার বাঙালির বড় উৎসব দুর্গা পুজোর জন্য প্রতি কমিটিকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। তারপর মহরম নিয়ে অস্ত্র মিছিল না করার অনুরোধ জানায়।
[আরও পড়ুন: বাগরি মার্কেট অগ্নিকান্ডে দায়ী ডিওডোরেন্ট-পারফিউম! ইঙ্গিত দমকল ও পুলিশ সূত্রে]
উল্লেখ্য, বীরভূমে এক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ইসলাম ধর্ম কঠিন ধর্ম, পবিত্র ধর্ম, সহিষ্ণুতার ধর্ম। সেখানে তলোয়ার, লাঠির সে অর্থে কোনও ভূমিকা নেই। তাই লাঠি-তলোয়ার ছেড়ে এবার শুধু তাজিয়াতেই মাত করা হবে মহরম উৎসব। মৌলবীরাও একই দাবি করেন। বীরভূমের বোলপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল নজির সৃষ্টি করে আগেই।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন! এই শতকের বড় অগ্নিকাণ্ডগুলি একনজরে]