গণতন্ত্রের জয়ে শক্তিশালী হল আঞ্চলিক জোট! কংগ্রেস-জেডিএসকে স্পষ্ট বার্তা মমতার
গণতন্ত্রের জয় হল কর্ণাটকে। জয় হল আঞ্চলিক জোটের। আড়াই দিনের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর টুইট বার্তায় কর্ণাটকবাসীকে অভিনন্দন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গণতন্ত্রের জয় হল কর্ণাটকে। জয় হল আঞ্চলিক জোটের। আড়াই দিনের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর টুইট বার্তায় কর্ণাটকবাসীকে অভিনন্দন জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিনন্দন জানালেন জেডিএস সুপ্রিমো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়াকে। অভিনন্দন জানালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামীকে। অভিনন্দন কংগ্রেস-সহ অন্যান্যদেরও।
শনিবার আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত জেনে ইয়েদুরাপ্পা সরে দাঁড়ান কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ফলে ভোটাভুটি হয়নি। আড়াই দিনের মুখ্যমন্ত্রিত্ব শেষ হওয়ার পর বল এখন কংগ্রেসের কোর্টে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গেও বার্তা দেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামীকে। তাঁর আস্থাভোটে জয়ের জন্য আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯-এর লক্ষ্যে আঞ্চলিক দলগুলিকে জোটবদ্ধ করতে তৎপর। সেই কারমেই কর্ণাটক সরকার গঠনের তিনি নেপথ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। কংগ্রেসকে যেমন এগিয়ে দিয়েছিলেন জেডিএসকে সমর্থনের জন্য, তেমনই জেডিএসকেও বুঝিয়েছিলেন কংগ্রেসের হাত শক্ত করে ধরতে। এই মর্মে তিনি দেবেগৌড়া ও কুমারস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।
Democracy wins. Congratulations Karnataka. Congratulations DeveGowda Ji, Kumaraswamy Ji, Congress and others. Victory of the 'regional' front
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 19, 2018
জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে প্রতিপন্ন করেছেন আগেই, এখন তিনি তৎপর মোদী বিরোধী জোটের মুখ হতে। সেই লক্ষ্যেই এর আগে শরদ পাওয়ার, চন্দ্রবাবু নাইডু, চন্দ্রশেখর রাওকে নিয়ে মোদী-বিরোধী মঞ্চ জোরদার করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি কংগ্রেস-জেডিএসকে জোটকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। দূরে থেকেও তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন কংগ্রেস ও জেডিএস শিবিরকে।
[আরও পড়ুন: মুকুল না দিলীপ- কার জন্য জঙ্গলমহলের ভোটে সাফল্য, তরজায় দু'ভাগ বঙ্গ বিজেপি]