২০১৪-য় বিজেপি জিতেছে ইভিএম হ্যাক করে! অস্ত্র হাতে পেতেই টুইট-বোমা মমতার
ফের ইভিএম জালিয়াতি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ইভিএম বাতিল করে পেপার ব্যালটে ভোট করার দাবি উঠে পড়েছে। শুধু দাবি তুলেই যে বিরোধীরা এবার ক্ষান্ত হবে না, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ফের ইভিএম জালিয়াতি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ইভিএম বাতিল করে পেপার ব্যালটে ভোট করার দাবি উঠে পড়েছে। শুধু দাবি তুলেই যে বিরোধীরা এবার ক্ষান্ত হবে না, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশের পরই কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে। এবার ইভিএম-যুগের অবসান ঘটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট-বোমা ফাটালেন।
গণতন্ত্র রক্ষা করতেই হবে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন- ‘আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করতেই হবে। আপনাদের প্রতিটি ভোট মূল্যবান। তাই আমরা বিরোধীরা ইভিএম নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্যে ইভিএম-যুগের অবসান ঘটানো যে আবশ্যক তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে
সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পুরোটাই রিগিং হয়েছে। লন্ডনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে ইভিএম বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করে সৈয়দ সূজা নামে এক ব্যক্তি এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। তাঁর দাবি, বিজেপি ইভিএম-বিভ্রাট ঘটিয়ে রিগিং করে ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম তৈরির যে দল ছিল, তিনি তার সদস্য ছিলেন বলেও দাবি করেন সুজা।
|
টুইট, প্রতিটা ভোটই মূল্যবান
তাঁর দাবি, শুধু ইভিএম হ্যাকিংই নয়, এই গোটা ষড়যন্ত্রে বিজেপির সঙ্গে কারা জড়িত ছিলেন এবং এর ফলস্বরূপ কী কী ঘটনা ঘটেছে, তারও একটা লম্বা তালিকা পেশ করেছেন সৈয়দ সূজা। আর তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট, প্রতিটা ভোটই মূল্যবান। সেই ভোট নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য যে ইভিএম একেবারেই নিশ্চিত নয়, তা ক্রমশও প্রকট হয়ে যাচ্ছে।
|
ইভিএম বাদ, ফের ব্যালটে!
সেই কারণে সমস্ত বিরোধী দল মিলে ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ১৯শে জানুয়ারি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলে ধরব। উল্লেখ্য, যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্রিগেডের দিন জানানো হয় ইভিএম বাদ দিয়ে ফের ব্যালটে ফিরতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বিরোধীরা। সেই লক্ষ্যেই অভিষেক মনু সিংভির নেতৃত্বে চারজনের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
স্বচ্ছতা আনতে বাদ ইভিএম মেশিন
নির্বাচনের কারচুপি-সহ একাধিক বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে ইভিএম মেশিন আনা হয়েছিল। ব্যালট-যুগের অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছিল ইভিএম-যুগ। ফের সেই ইভিএম নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ায় ব্যালট ফেরানোর দাবি উঠে পড়ল। আর তা ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বৃহৎ আকার নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আছড়ে পড়তে চলেছে এবার।