মুকুল প্রতিদিনই ফোন করছেন! এতদিন পর ধরে ফেললেন মমতা, তা প্রকাশও হয়ে গেল
একদা দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ডে’র সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তৃণমূলের অন্য নেতাদের সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক এখনও অটুট রয়েছে!
গতবছর পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল মুকুলের গেরুয়া পথের যাত্রা। পুজো মিটতেই তৃণমূলের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে যোগ দিয়েছিলেন শত্রুশিবিরে। সেই থেকেই একদা দলের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ডে'র সঙ্গে বিচ্ছেদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তৃণমূলের অন্য নেতাদের সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক এখনও অটুট রয়েছে!
মুকুলের ফোন
লোকসভার আগে আবার নতুন করে প্রকাশ হয়ে গেল মুকুল রায়ের পুরনো যোগাযোগ। মুকুল রায়ের তৃণমূলী যোগাযোগ আজও একইরকম রয়েছে। আর মুকুল যে ফোন করেন তৃণমূল নেতাদের তা ধরে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রকাশ মমতার
কোর কমিটির বৈঠকে তা প্রকাশও করে দিয়েছেন মমতা। একেবারে নাম ধরে ধরে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন মুকুল রায়। নানা প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য লোকসভার আগে তৃণমূলের শক্তিক্ষয় ঘটিয়ে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করা।
নজরে সফি
মুকুল রায় নাকি সম্প্রতি ফোন করেছিলেন হায়দার আজিজ সফিকে। কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে নাম করে তিনি বলেন, কী সফিদা, মুকুল ফোন করেছিল তো। বলেছে, এমপি করে দেবে। না, আপনার দোষ নেই। তবে যে সব কথা বলছে ওসব কিছু করে দেবে না।
মমতার নিশানা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আরও অনেককে ফোন করছে মুকুল রায়। আমার কাছে সবার নামের তালিকা রয়েছে। আমি আর কারও নাম বলছি না। ও ফোন করবে, করুক। আরও অনেককে করবে। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না।
দায়িত্বে মুকুল
মুকুল রায় সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছেন লোকসভা নির্বাচনের। বিজেপির কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছে। তারপর থেকেই বেশি করে ফোন আসছে তৃণমূল নেতাদের কাছে। বিজেপিতে তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা এই লোকসভা নির্বাচন। তাই তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন দলের শক্তিবৃদ্ধি করে লোকসভায় কিছু করে দেখানোর জন্য।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলকে 'ধাক্কা' দিল কংগ্রেস! ব্রিগেডের সমাবেশে যাওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা]
দায়িত্ব আছেন পদে নেই
বিজেপিতে এখনও কোনও পদ পাননি মুকুল রায়। সাকুল্যে পদ বলতে, এই নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও হয়েছিলেন, এবার লোকসভা নির্বাচনের সময়ও হয়েছেন। পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকটি জেলায় দাগ কেটেছে বিজেপি। তাই আবারও দায়িত্ব পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: যেসব কারণে রাজস্থানে মোদীর দলের ফেরার সম্ভাবনা কম! সম্ভাবনা নেই তৃতীয় শক্তিরও]
ক্যাপ্টেন দিলীপের স্ট্রাইকার মুকুল
সাফল্য এনে দিলে যদি রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ানো যায়। নতুবা তাঁর অস্তিত্ব আরও বিপন্ন হয়ে পড়বে। এক বছর পূর্ণ হয়েছে মুকুলের বিজেপিতে আগমনের, কিন্তু সাংসদ বা মন্ত্রী কিছুই করা হয়নি তাঁকে। পাননি কোনও পদ। এখনও তিনি ক্যাপ্টেন দিলীপের টিমের সাধারণ সদস্য হয়েই রয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মমতার 'স্বপ্ন' নিয়ে উত্তর মুকুলের! তৃণমূল নেত্রীর মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়]