পাল্টা দিলেন মমতা! রাহুল গান্ধীকে কোন বার্তা, জেনে নিন
রাহুল গান্ধীর কাছে তিনি নতজানু হবেন না। এমনটাই জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে এমনই বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী।
রাহুল গান্ধীর কাছে তিনি নতজানু হবেন না। এমনটাই জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে এমনই বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হিংসা কথা রাহুল গান্ধীকে জানান প্রদেশ সভাপতি। অধীর চৌধুরীর দাবি, রাহুল বলেছেন, কংগ্রেস কারও পা ধরেনি, ভবিষ্যতেও পা ধরে চলবে না।
পড়তে হলে মানুষের পায়ে পড়ব। কেউ কেউ চান রাহুলের পায়ে পড়ুন। কিন্তু তিনি তা পারবেন না। সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কৌশলের ব্যাখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, কংগ্রেসকে সব রাজ্যেই কেন লড়তে হবে। কংগ্রেস যে সব রাজ্যে শক্তিশালী নয়, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ফেডারেল ফ্রন্টে গেলে একের বিরুদ্ধে এক, এই ফর্মুলায় লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, সেই রাজ্যে সে লড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একথার মাধ্যমে রাজ্য কংগ্রেসকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মঙ্গলবার সকালের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের হিংসা নিয়ে নানা চিত্র তুলে ধরেন অধীর চৌধুরী।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে রাজ্যের কংগ্রেস আর দিল্লির কংগ্রেসের মধ্যে পার্থক্য করতে দেখা গিয়েছে। এমন কী দিল্লির কংগ্রেস তাদের পা ধরেন বলেও বলেছেন বলে সূত্রের খবর। সর্বভারতী বিভিন্ন ঘটনায় কংগ্রেস তৃণমূলের ওপর নির্ভরশীল। এমনটাই মতপ্রকাশ করা হয় তৃণমূলের তরফে। মঙ্গলবারের বৈঠকে সব কিছুই রাহুল গান্ধীর সামনে তুলে ধরেন অধীর চৌধুরী।
রাহুল গান্ধীর বাসভবনে বৈঠক শেষে অধীর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কংগ্রেস কারও পা ধরেনি, ভবিষ্যতেও পা ধরে চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন আক্রান্ত হন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। সেই ঘটনা নজর এড়ায়নি কংগ্রেস হাইকমান্ডের। দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় অধীর চৌধুরীকে। সকাল দশটায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধীর।