৫ বছরের ‘ডিক্টেটর’কে সরাবই, ৩৪ বছরের ‘জগদ্দল পাথর’কে সরিয়ে প্রত্যয়ী মমতা
কোর কমিটির বৈঠক থেকে শুধু রাজ্যের টার্গেট ফিক্সড করাই নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বার্তাও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোর কমিটির বৈঠক থেকে শুধু রাজ্যের টার্গেট ফিক্সড করাই নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বার্তাও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে কোর কমিটির বৈঠক থেকে তিনি বলেন, পাঁচ বছরের 'ডিক্টেটর' নরেন্দ্র মোদীকে সরাবই। এটা আমার শপথ। সেজন্য তিনি নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় বার্তা দিলেন।
‘ডিক্টেটর’ নরেন্দ্র মোদীকে সরাবই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩৪ বছরের ‘জগদ্দল পাথর' বামফ্রন্ট সরকারকে উপড়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। এবার পাঁচ বছরের ‘ডিক্টেটর' নরেন্দ্র মোদীকে সরানোর লড়াই। আমরা একসঙ্গে লড়ে তাঁকে সরাবই। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। তিনি এ জন্য কর্মীদের একত্রিত লড়াইয়ের বার্তা দেন। আর এই লক্ষ্যে তাঁদের লক্ষ্য স্থির করে দেন।
৪২-এ ৪২, বিজেপি শূন্য
তিনি সবাইকে একত্রিত করে বিজেপির যাবতীয় জারিজুরি শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা কষেছেন। সে জন্য বাংলা থেকে ৪২-এ ৪২ পেতে হবে। বিজেপিকে শূন্য করে দিতে হবে। গতবার দুটি আসন জিতেছিল, এবার যেন জোড়া রসগোল্লা খাইয়ে বিদায় দেওয়া যায় বিজেপিকে। কর্মীদের এই লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে।
ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে নজর রাখুন
তাঁর কথায়, ইভিএম হ্যাক করে ভোটে জেতার চেষ্টা চালানো হবে। তাই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে নজর রাখতে হবে। বিজেপির মতো বিদঘুটে শক্তিকে কোনওভাবেই জায়গা দেওয়া যাবে না। গণতান্ত্রিক পথেই বিজেপির মতো অপশক্তিকে শেষ করে দেশকে রক্ষা করতে হবে। কোনওভাবেই এই পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। কারণ এটা দেশ বাঁচানোর লড়াই।
মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সরকার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের এই সরকার দেশের জন্য কিছু করেনি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু একটা প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি সরকার। যেটুকু কাজ করেছে, তা বাংলাকে কপি করে। দেশ চালাতে জানে না মোদী সরকার। বাংলাকে কপি করে একটা প্রকল্প এনেছে যাওয়ার আগে। যা আমরা পাঁচ-সাত বছর আগেই করে দিয়েছি।
বিভাজন ছড়ানোর চেষ্টা
এখন দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে দানবদের দল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস ও বিজেপি একযোগে রাজ্যে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নানা গুজব ছড়াচ্ছে। গভীর রাতে মিছিল করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে। এ রাজ্যে ট্রেনে করে টাকা আনছে বিজেপি, লোকসভার আগে টাকা ছড়িয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কিনে নেওয়াই এঁদের লক্ষ্য।