পেট্রোল থেকে গ্যাস, দাম বাড়িয়ে 'গ্রেট ইন্ডিয়ান লুট' চালাচ্ছে বিজেপি সরকার, টুইট মমতার
পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। ১১৫তে গিয়ে পেট্রোলের দাম বেশ কিছু দিন থমকে থাকলেও রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। এবার আরও ৫০ টাকা বাড়ল ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম।১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের কলকাতায় দাম বেড়ে হয়েছে ১০২৬ টাকা। শুধু কলকাতায় নয় সারা ভারতে এই রান্নার গ্যাসের দাম ১০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্যের এই টানা মূল্যবৃদ্ধিকে তিনি গ্রেট ইন্ডিইয়ান লুট বলেছেন তাঁর টুইটে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে ভারতের জনগণকে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করতে হবে! বারবার জ্বালানির দাম, এলপিজির দাম এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে বিজেপি আসলে একটি গ্রেট ইন্ডিইয়ান লুট চালাচ্ছে। মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। মিডিয়া এই বিষয়ে নীরব এবং অন্ধ হয়ে আছে। এটা দেখে আমি দুঃখিত।"
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চাইছেন যে পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্যের অবাধ দাম করে সরকার নিজের পকেটে টাকা ঢোকাচ্ছে মানুষের পকেট ফাঁকা করে। তাই তিনি একে গ্রেট ইন্ডিয়ান লুট বলেছেন।
The Union government must immediately STOP TORMENTING the people of India!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 7, 2022
By repeatedly increasing #fuel prices, #LPG prices & prices of #essentialcommodities, @BJP4India is actually conducting a #GreatIndianLoot. PEOPLE ARE BEING FOOLED.
Sad to see the Media SILENT & BLIND.
কেরলে ৯৫৬.৫০ টাকা থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ১০০৬.৫০ টাকা।গত ১ মার্চ গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম সংশোধন করা হয়েছিল শেষবারের মতো। মধ্যে এপ্রিলে কোনও দাম বাড়েনি। মার্চে সময় সিলিন্ডার পিছু গ্যাসের দাম ৫০ টাকা করে বৃদ্ধি হয়েছিল।
সেই সময় কলকাতায় ১৪.২ কেজির গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের মূল্য হয় ৯৭৬ টাকা। পয়লা মে গভীর রাত থেকে সারা দেশে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করা হয়। কলকাতার ক্ষেত্রে ১৯ কেজির সিলিন্ডারে দাম বৃদ্ধি হয়েছিল ১০৩.৫০ টাকা। ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম হয় ২৪৫৫ টাকা। এর আগে গত ১ এপ্রিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ২৫০ টাকা করে। এদিন অবশ্য বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমেছে ৯.৫০ টাকা। কলকাতায় ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪৫.৫০ টাকা।
তবে দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আপাতত অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলি ১৪ বার বাম বৃদ্ধি করেছিল। তারপর থেকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সময় বলা হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। সাধারণভাবে প্রতি মাসের ১ তারিখে এপিজির দাম সংশোধন করে থাকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি।
তবে এবার মাসের শুরুতে গার্হস্থ্য ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করেনি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। শুক্রবার ডলার পিছু টাকার দাম কমে হয় ৭৬.৯৭ টাকা। পরে অবশ্য টাকার দাম কিছুটা বেড়ে হয় ৭৬.৮৫ টাকা। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি তেলের মূল্য ছিল ১১০ মার্কিন ডলার। যেতেতু দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হয়, সেই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি কিংবা টাকার দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি দেশের জ্বালানির দামে প্রভাব ফেলে।