ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংবিধান বাঁচাতে মোদীর বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ
বাংলায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদী। ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ফেডারেল স্ট্রাকচার। বিজেপির রাজত্বে ভারতের সংবিধান বিপন্ন। তাই এখন থেকেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসছেন তিনি।
বাংলায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদী। ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ফেডারেল স্ট্রাকচার। বিজেপির রাজত্বে ভারতের সংবিধান বিপন্ন। তাই কলকাতার নগরপালের বাড়িতে সিবিআই হানার পর সংবিধান বাঁচাতে ধরনায় বসার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করেন, এখন থেকেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে একপ্রকার 'এমার্জেন্সি' চালাচ্ছে মোদী সরকার। ৩৫৬ ধারা জারির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আঘাত করছে ফেডারেল স্ট্রাকচারকে। এই ফেডারেল স্ট্রাকচার ভেঙে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে, সংবিধান বাঁচাতে আমি ধরনায় বসছি। আমি এর বিহিত চাই।
মমতার কথায়, গান্ধীজি সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছিলেন, আমি সংবিধান বাঁচাতে ধরনায় বসছি। কেন্দ্র ফেডারেল পরিকাঠামোয় আঘাতের চেষ্টা করছে, তার বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ। তাই যতক্ষণ না কেন্দ্র রাজ্যের প্রতি এই মনোভাব পরিবর্তন করছে, ততক্ষণ ধরনা চলবে। সোমবার রাজ্যের বাজেট আছে। তা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ব্রিগেডে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সভার পর থেকেই সিবিআই হানা শুরু হয়েছে। মোদীজি বুঝতে পেরেছেন, আর জিততে পারবেন না। তাই সিবিআইয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিছু করতে। সেইমতোই কাজ করছে সিবিআই। দেশের সর্বত্র বিরোধী সরকারকে সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে।
তিনি এদিন বিজেপিকে চোর পার্টি বলে ব্যাখ্যা করেন। বলেন, বিজেপি গায়ের জোর দেখিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। ডোভালের নির্দেশে সিবিআই চলছে বলে অভিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পলিটিক্যালি ফাইট করতে পারছেন না মোদী, তাই অজিত ডোভালকে কাজে লাগাচ্ছেন মোদী। সিবিআইকে চালাচ্ছেন তিনিই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার বাড়িতে যিনি চা দেন, আমার অফিস সামলান, একজন ৭২ বছরের বৃদ্ধ, তাঁকেও অপমান করেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, ফিল্মস্টার তাপস পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতদিন চুপ করে ছিলাম, কিছু বলিনি। আজ আবার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে এসেছে তল্লাশি চালাতে। যা নয় তাই করা হচ্ছে সিবিআইকে দিয়ে। আমি ছুটে এসেছি, কারণ প্রশাসনকে সুরক্ষা দেওয়া আমার দায়িত্ব। এটা আমার প্রশাসনিক দায়িত্ব, আমার ব্যক্তিগত দায়িত্ব।
তিনি মোদীকে নিশানা করে বলেন, যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে এত বাজে কথা, তিনি কি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। সিপির চিটফান্ড যোগ প্রমাণ করুক, সিটের দায়িত্ব ছিলেন রাজীব কুমার, তাঁকে এখন হেনস্থা করা হচ্ছে। এই 'এমার্জেন্সি' মানা যায় না। যতক্ষণ না এই ফেডারেল স্ট্রাকচার ভেঙে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়, সংবিধান বাঁচাতে আমি ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
[আরও পড়ুন:সিবিআই আধিকারিকদের আটক করল পুলিশ, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত পৌঁছল চরমে ]
উল্লেখ্য, এদিন সিপির বাড়ির সামনে সিবিআই হানা দেয়। নজিরবিহীনভাবে আটক করা হয় সিবিআই আধিকারিকদের। রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত ফের চরমে উঠল এর ফলে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে। তারপর সিপির বাড়ির সামনে থেকে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়ার থানায়।
[আরও পড়ুন:কলকাতার নগরপালের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআই বনাম পুলিশ বেনজির ঘটনা রাজ্যে ]
[আরও পড়ুন:কলকাতার নগরপালের বাড়ির সামনে হাজির সিবিআই, গ্রেফতারির আশঙ্কায় জল্পনা তুঙ্গে ]