২০১৯-এও ২০১৪-র পুনরাবৃত্তি! কোন অঙ্কে মমতা বাতলে দিলেন মোদীর ভবিষ্যৎ
২০১৯-এ কেন্দ্রের মোদী সরকারের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন দেশের মানুষ। এখন শুধু তা ভোটবাক্সে রূপায়িত হওয়ার অপেক্ষা। মোদী সরকারের উৎখাত স্রেফ সময় সাপেক্ষ।
২০১৯-এ কেন্দ্রের মোদী সরকারের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন দেশের মানুষ। এখন শুধু তা ভোটবাক্সে রূপায়িত হওয়ার অপেক্ষা। মোদী সরকারের উৎখাত স্রেফ সময় সাপেক্ষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন, এবার বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাবে না। রাজ্যে এবার শূন্য পাবে বিজেপি। ফল হবে ৪২-০।
কলকাতায় এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ২০১৯ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও ২০১৪-র পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে এবারও টুক করে পরিবর্তন হতে চলেছে দেশে। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। মোদী সরকারে উৎখাত হবেই। বুলেট ট্রেনের গতিতে মানুষ পরিবর্তন চাইছে। তা আর না হয়ে উপায় নেই।
মমতা বলেন, ২০১৯-এ গণভোট হবে। একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে বাকি সবাই। পরিবর্তন হবেই হবে। কিন্তু যতই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে, মোদীর হটসিটে বসবেন কে? মমতা সেই একই উত্তর দিয়েছেন। মমতা বলেছেন, আগে তো বিজেপি বিদায় নিক। তারপর ঠিক হবে বিরোধী দলগুলি থেকে কে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন।
তবে তিনি জানিয়েছেন, কালেক্টিভ লিডারশিপ থাকবে বিরোধীদের। এদিন মমতা বলেন, এখন দুজন মিলে দেশ চালাচ্ছে। এটা সমীচিন নয়। এই শাসনের অবসান জরুরি। দেশের মানুষ তাই চান। এখন প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ভয় পাচ্ছেন দেশবাসী। দেশবাসীর এই ভয় কাটিয়ে তাঁদের কাছের মানুষ হয়ে উঠতে হবে আমাদের।
[আরও পড়ুন:তেলাঙ্গানায় কার দিকে পাল্লা ভারী, কী বলছে ইন্ডিয়া টুডে সমীক্ষা]
প্রশ্ন উঠেছিল, প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখার আশা এবার মিটবে কি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সু-কৌশলে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান। বলেন, দেশের মত তো বাংলা একা স্থির করে দিতে পারে না। মানুষ যাঁকে চাইবেন তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। তা মুখ্য নয়। মুখ্য হল দেশ থেকে অপশক্তিকে বিতাড়ন করে শুভ শক্তির স্থাপন করা।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য মমতার রাজ্যে ২০১৯-এর নির্বাচন! বিজেপির কাজ কীভাবে, ঠিক করে দিলেন অমিত শাহ]
মমতা আরও বলেন, বিজেপি জানে তাঁরা এবার জিততে পারবে না। সম্মিলিত শক্তির কাছে ওরা খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। তাই চাইছে, অখিলেশের সঙ্গে মায়াবতীর ঝগড়া লাগাতে। রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে কোন্দল লাগিয়ে দেওয়া ওদের কৌশল। বিজেপির সেই কৌশলে পা দিলে চলবে না।