রাজনীতিক না হলে কী হতেন মমতা, অকপট মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখেই জানালেন সে কথা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগ্রামের অপর নাম। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। আর সেই সংগ্রাম-আন্দোলনই তাঁকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে। রাজনীতিতে না এসলে তিনি কী হতেন, জানালেন নিজেই।
সংগ্রাম, সংগ্রাম আর সংগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগ্রামের অপর নাম। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। আর সেই সংগ্রাম-আন্দোলনই তাঁকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে। তিনি তাঁর লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন, তাই তিনি সফল হয়েছেন তাঁর উদ্দেশ্যে। তিনি তাঁর জীবন নিয়োজিত করেছেন মানুষের জন্য।
তাই রাজনীতিবিদ না হলে তিনি কী হতেন, সেই প্রশ্ন শুনে এক পলক থমকে বলেছিলেন, আমি রাজনীতিবিদ নই। প্রথমে আমি একজন মানুষ। তারপর আমি সমাজকর্মী। আমি মানুষকে নিয়ে থাকতে চাই। মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। আমি করে খাওয়া বা পাওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। আমার লক্ষ্য মানুষের পাশে থাকা। মানুষের জন্য কাজ করা।
এ প্রসঙ্গেই তিনি মজার ছলে বলেন, রাজনীতিতে না এলে কিংবা আজ মুখ্যমন্ত্রী না হলে, তিনি অন্তত দেশ ভাঙতেন না, দেশ গড়ার কাজেই থাকতেন। প্রসঙ্গত একটি প্রশ্ন ওঠে, এবার কি তাঁকে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের ব্যাটন তুলে ধরার কাছে সামনের সারিতে দেখা যাবে?
সেই প্রশ্নেও মুখ্যমন্ত্রী বোঝালেন তিনি কতটা নমনীয়। তিনি বলেন, 'আমি ভালোবাসি পেছনের সারিতে থাকতে। সামনের সারিতে আমি থাকতে চাই না। চাই, পিছন থেকে দেশ গড়ার কাজে নিজেকে ব্রতী রাখতে।' এভাবেই যেন তিনি চলতে পারেন, এটাই তাঁর অভীপ্সা। তাঁর লক্ষ্য পিছন থেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে, সেতুবন্ধনের কাজ করতে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ সভাপতি, স্পষ্ট দলের বিভাজন]
যুব সমাজের সামনে, দেশের ভবিষ্যতের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অকপটে বলেন, জীবনে আমার কিছু চাওয়ারও নেই, কিছু পাওয়ারও নেই। সংগ্রাম দিয়ে আমার পথ চলা শুরু হয়েছিল, সংগ্রামের মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত হয়েছে, আর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমি চলে যেতে চাই।
[আরও পড়ুন: মোদীর 'দানবিক' সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক পার্থর, কালাদিবসে আহ্বান গোটা বাংলাকে]