পুজোয় মমতার সরকারি অনুদান এখন আইনি ফাঁসে, ৮ প্রশ্নবাণ প্রধান বিচারপতির
দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। ওইদিনই রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে।
দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। ওইদিনই রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। সেই হলফনামায় রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্য কি অন্যান্য পুজো বা উৎসবেও এমন অনুদান দেয়, নাকি দুর্গাপুজোতেই দিচ্ছে?
এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হলফনামা আকারে সেই জবাব পেশ করতে হবে। তারপরই রায় জানাবে আদালত। এই অনুদান বৈধ কি না, তা স্পষ্ট হবে। কারণ এর আগে ইমামভাতা নিয়েও একই প্রশ্ন উঠেছিল। এবার দুর্গাপুজোয় ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা অনুদান নিয়ে আপাতত রাজ্যের কাছে প্রশ্নাবলী রাখল আদালত।
রাজ্যের
কাছে
যে
সমস্ত
প্রশ্নের
উত্তর
জানতে
চেয়েছে
হাইকোর্ট
১)
জনগণের
টাকা
কি
পরিপ্রেক্ষিতে
ব্যবহার
করা
হচ্ছে?
২)
জনগণের
টাকা
এভাবে
অপব্যবহার
করা
যায়
কি?
৩)টাকা
দেওয়ার
কি
কোনও
গাইডলাইন
আছে
?
কোনও
চেক
ভালভ
আছে?
৪)
সব
সম্প্রদায়ের
মূল
উৎসবে
কি
এই
ধরনের
অনুদান
দেওয়া
হয়?
৫)রাজ্যে
২৮
হাজারের
বেশি
পুজো
হলে
তারা
কি
টাকা
পাবে?
৬)
এভাবে
পুজো
কমিটি
বেছে
বেছে
টাকা
দিতে
পারা
যায়
কি?
৭)
পুরো
টাকা
খরচ
না
করতে
পারলে
বাকি
টাকা
কি
ফেরত
নিতে
পারা
যাবে?
৮)
যে
উদ্দেশ্যে
এই
অনুদান,
তা
সাধিত
না
হলে
কী
হবে?
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
[আরও পড়ুন: পুজোয় সরকারি অনুদানে ধাক্কা খেলেন মমতা, জনস্বার্থ মামলার রায়ে স্থগিতাদেশ জারি ]