৩২০০ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের তৃণমূল সরকারের, শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
৩২০০ শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির কর্মী সংকট মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের গ্রন্থাগার দফতর গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
৩২০০ শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির কর্মী সংকট মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের গ্রন্থাগার দফতর গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গ্রন্থাগার আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজ্যে গ্রন্থাগারগুলিতে প্রায় ৩২০০ শূন্যপদ রয়েছে। ২৪৮০টি গ্রন্থাগারের মধ্যে ৩০০টির এমন করুণ অবস্থা যে, সেগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এমতাবস্থা সেগুলি খোলার পাশাপাশি সমস্ত শূন্যপদই পূরণ করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
সোমবার গ্রন্থাগার বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরী, ছিলেন তিন জেলার গ্রন্থাগারিক, জেলাশাসক, সভাধিপতিরাও। সেখানেই এই শূন্যপদ প্রসঙ্গ উঠে আসে। তখনই গ্রন্থাগারমন্ত্রী জানান সরকারের পরিকল্পনার কথা।
তিনি জানান, রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি কর্মীর অভাবে ভুগছে। বহু গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শূন্যপদ পূরণ জরুরি। সরকার তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করে শূন্যপদ পূরণের পদ্ধতি শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রয়োজনীয় ফাইল পাঠানো হয়েছে।
গ্রন্থাগারমন্ত্রী জানান, শুধু কর্মীসংকট দূর করাই নয়। গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠক-সংথ্যা বৃদ্ধি করার জন্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য। সেজন্য রাজ্য সরকারি পরিকল্পনা করেছে, প্রতি গ্রন্থাগারে বাতানুকূল পাঠগৃহ, শিশু পাঠাগার অর্থাৎ চিল্ড্রেন্স কর্নার ও আধুনিক শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। গ্রন্থাগারগুলিকে ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে বাতানুকূল পাঠগৃহ, আধুনিক শৌচাগার, শিশুদের জন্য চিল্ড্রেন্স কর্নার ও সর্বোপরি গ্রন্থাগারকে ডিজিটাল ব্যাবস্থার আওতায় আনার চিন্তাভাবনাও শুরু করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই এই সমস্ত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।