মন্ত্রিসভার পর ফের বড়সড় রদবদল মমতার সরকারের! বিজেপির উত্থানেই কি নেপথ্যে
ঝাড়গ্রামের আটটি ব্লকের বিডিওকেই বদলি করে দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে এক নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বদলির কথা।
এবার কোপ পড়ল বিডিওদের উপর। ঝাড়গ্রামের আটটি ব্লকের বিডিওকেই বদলি করে দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে এক নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বদলির কথা। শুধু ঝাড়গ্রামই নয়, বীরভূমের এক বিডিওকেও বদলি করা হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিষেবা প্রদানে গাফিলতির অভিযোগেই বদলির সিদ্ধান্ত।
এদিন নবান্নে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ ও ২, বিনপুর ১ ও ২, জামবনি, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিডিওদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছে বিজেপি। এই দুটি সমিতি হল গোপীবল্লভপুর ১ ও সাঁকরাইল। এদিন বীরভূমের সিউড়ি দু-নম্বর ব্লকের বিডিওকেও বদলি করে দেওয়া হয়।
এই বদলির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও পরিষেবা প্রদানের ব্যাপারে বিডিও-র তরফে গাফিলতি ছিল। মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা পাননি। পঞ্চায়েত ভোটের শাসকদলের খারাপ ফলের কারণ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে এই ছবি সামনে চলে আসে। সরকারি কাজের প্রচারে বিডিওদের একটা বড় ভূমিকা থাকে। সেই ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করেননি বিডিওরা।
তবে এই বদলির পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের কথায়, এই বদলি হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে। জঙ্গলমহলে সাম্প্রতির নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে শাসক দল। বিজেপির উত্তরণ হয়েছে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেই কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে, দলীয় স্তরের রদবদল করছে রাজ্য সরকার ও শাসকদল। সেইমতোই আমলাস্তরেও পরিবর্তন হচ্ছে।
জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ভোট ছিল ৫৬ শতাংশ। সেখানে এবার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ভোট কমে হয়েছে ৪৭ শতাংশ। অপরদিকে বিজেপির ভোট ১৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ শতাংশ। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক দল তথা রাজ্য সরকারের। সেই কারণেউ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে পরিবর্তন ঘটাতে চাইছে।