পদত্যাগ করছেন যাদবপুরের উপাচার্য, ঘোষণা স্বয়ং মমতার
কলকাতা, ১২ জানুয়ারি: পদত্যাগ করতেই হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে। সোমবার সন্ধেবেলা নিজে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশনরত পড়ুয়াদের পাশাপাশি সাক্ষাৎ করেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি ছাড়াও এ দিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এসে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের গর্ব। সারা পৃথিবীতে এখানকার ছাত্রছাত্রীদের সুনাম রয়েছে। তাই আমার ছোট ছোট ভাইবোনদের দিকে তাকিয়ে আমি ছুটে এসেছি। উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি পদত্যাগ করছেন।"
আরও
পড়ুন:
উপাচার্যের
পদত্যাগের
দাবিতে
আমরণ
অনশনে
যাদবপুরের
পড়ুয়ারা
আরও
পড়ুন:
যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ে
হিটলারি
কায়দায়
পুলিশি
হামলা,
আলো
নিভিয়ে
শ্লীলতাহানি
আরও
পড়ুন:
ছাত্ররা
সরল,
বুঝিয়ে
সামলাতে
হয়,
যাদবপুরে
পুলিশি
হামলার
নিন্দায়
সরব
মন্ত্রী
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত বছরের ২৮ আগস্ট এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। তার বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। শুরু হয় অবস্থান। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশ ডাকেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। সেই বর্বর পুলিশি অভিযানের পর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সরব ছাত্রছাত্রীরা। এ বারের অনশন সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ ছিল।
ইতিমধ্যে এক সপ্তাহের বেশি অনশনে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ডাক্তাররা বলেছেন, এমন চলতে থাকলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। অবস্থা সামলাতে তাই এ দিন ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে পড়ুয়ারা স্লোগান দেয়। প্রাথমিক কিছু কথাবার্তা বলে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তার পরই তিনি ঘোষণা করেন উপাচার্যের পদত্যাগের কথা।
প্রসঙ্গত, শাসক দলের পক্ষ থেকে যাদবপুরের এই আন্দোলনকে বরাবর খাটো করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ক্যাম্পাসে মদ-গাঁজা-চরস খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাই আন্দোলন হচ্ছে। এমনকী, পাল্টা প্রচারও শুরু করেছিল তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের কাছে তাদের মাথা নোয়াতেই হল।