লোকসভার আগে ফের রদবদল মমতার মন্ত্রিসভায়! একনজরে কে পেলেন, কে হারালেন
মমতার মন্ত্রিসভায় ফের রদবদল হল। ব্রাত্য বসুর দফতর বদল করা হল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এক দফথর নিয়ে দেওয়া হল ব্রাত্য বসুকে। ব্রাত্য দফতরের দায়িত্ব অমিতের উপর।
মমতার মন্ত্রিসভায় ফের রদবদল হল। ব্রাত্য বসুর দফতর বদল করা হল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এক দপথর নিয়ে দেওয়া হল ব্রাত্য বসুকে। ব্রাত্যর দফতরের দায়িত্ব বর্তাল অমিত মিত্রের হাতে। অর্থমন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের যেমন দায়িত্ব বাড়ল। একইভাবে দায়িত্ব বাড়ল পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী অসীমা পাত্রেরও।
ব্রাত্য বসুর দায়িত্ব খর্ব
ইনিংস শুরু করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে। সেই দায়িত্ব থেকে অব্যহতির পর মিলেছিল পর্যটন দফতর। দ্বিতীয় দফায় তিনি পেয়েছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি দফতর। এখন সেই দফতরেরও বদলি হয়ে গেল। তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের দায়িত্ব বর্তাল অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ঘাড়ে। আর তিনি হলেন জৈব প্রযুক্তিমন্ত্রী। বায়ো টেকনোলজি মিনিস্টার। এই দফতর ছিল শিক্ষামন্ত্রী তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর।
অসীমা পাত্রের দায়িত্ব বৃদ্ধি
অসীমা পাত্র পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তাঁর উপর আর দ্য়িত্ব চাপালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন থেকে কৃষি দফতর, মৎস্য দফতর ও অনুন্নত কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাবেন তিনি। লোকসভার আগে তাঁর দায়িত্ব বাড়ল।
অমিত মিত্রের আরও দায়িত্ব
একাধারে অর্থমন্ত্রী, অন্যধারে তিনিই শিল্পমন্ত্রী। দু-দুটি বড় দফতর তাঁর হাতে। তার উপর আনুষাঙ্গিক অন্যান্য দফতর তো রয়েছেই। এবার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মিলল অমিত মিত্রের। অমিত মিত্রের উপর যে অনেক বেশি নির্ভর করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বুঝিয়ে দিলেন আবারও।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভার লাঘব
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর অনেক দায়িত্ব। তিনি যেমন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন, তেমনই পরিষদীয় মন্ত্রীও তিনিইষ তার উপর দলের মহাসচিব। তিনিই মুখপাত্র। দলের আবার সরকারেরও। তাই তাঁর ভার খানিক লাঘব করা হল। জৈব প্রযুক্তি দফতর তাঁর কাছ থেকে নিয়ে দেওয়া হল ব্রাত্য বসুকে।
চার মাসের মধ্যে রদবদল
পঞ্চায়েতের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অবনী জোয়ারদার, চূড়ামণি মাহাতো ও জেমস কুজুর পদত্যাগ করেছিলেন মন্ত্রিসভা থেকে। তারপর অপেক্ষা না করে রদবদল সেরে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কমানো হল। তাঁর কাছ থেকে পরিবেশ দফতর দেওয়া হয় পরিবহণমমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।
দফতর আদান-প্রদান
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দায়িত্ব চাপানো হয় মলয় ঘটকের কাঁধে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কমিয়ে সেচ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় সৌমেন মহাপাত্রকে। সেচ দফতরের পরিবর্তে রাজীব পান অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব। সৌমেন মহাপাত্রের জলসম্পদ দফতর যায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে রাখলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতর।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে সুখবর, রাজ্যবাসীর জন্যও পাঁচ লক্ষ টাকার পরিষেবা ঘোষণা মমতার]