মাত্র ১০ মিনিট কথা, জল্পনায় ইতি ঘটিয়ে শোভনের ইস্তফা, মেয়র পদও ছাড়ার নির্দেশ
মাত্র ১০ মিনিট কথা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য থাকছেন না।
মাত্র ১০ মিনিট কথা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য থাকছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন মন্ত্রিত্ব থেকে। আর তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ার পর তাঁকে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেওয়া হল।
যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন, অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে নির্দেশ দেন মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিতে। এদিন মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েচেন, বুধবার তিনি কলকাতার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
[আরও পড়ুন: '২০১৯ এর ভোটে জিতবে না, জানে বিজেপি' মিজোরামে ঝাঁঝালো দাবি রাহুলের]
বেশ কিছু দিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এক এক করে তাঁর ডানা ছাঁটা চলছিল। তাঁকে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাপতির পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন:মেয়র পদও ছাড়তে চলেছেন শোভন! মন্ত্রিত্বে ইস্তফার পর তৃণমূলে বিচ্ছেদ জল্পনা তুঙ্গে]
শোভন চট্টোপাধ্যায় নহান্নে প্রবেশ করেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যান শোভন। ১০ মিনিট পরে বেরিয়ে আসেন। তখনই ইস্তফা প্রায় পাকা হয়ে যায়। এরপর অবশ্য শোভনকে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দমকলের এক অনুষ্ঠানে। যদিও তারপরই শোভন নিজের ধরে ফিরে গিয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিবের কাছে।
[আরও পড়ুন:মমতার ধমক, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকে, বিচ্ছেদ-জল্পনা তুঙ্গে ]