খিল এঁটে হার্দিকের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক সমঝোতা মমতার, বাড়ল কি বিজেপি-র অস্বস্তি
সামনেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মোদী বিরোধী যে রাজনৈতিক বলয় তৈরি হয়েছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদমেই আছেন।
সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই নবান্নে বৈঠকে বসার কথা। কিন্তু উড়ানের দেরিতে বাগডোগরা থেকে কলকাতায় এসে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান অবতরণ করল তখন ঘড়ির কাঁটা ছ'টা পেরিয়ে গিয়েছে। ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী উড়ান কর্তৃপক্ষের মুণ্ডুপাত করতে করতে বিমান বন্দর ছাড়েন। কারণ, ততক্ষণে নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হার্দিক প্যাটেলের এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ছিল জোর জল্পনা। মোদী বিরোধী জোটে মমতার পাশে হার্দিকের চলে আসাটা রাজনৈতিক মহল গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মমতা ও হার্দিকের মধ্যেকার রাজনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হয়ে গেলে মোদী বিরোধী জোটের পক্ষে তা তাৎপর্যপূর্ণ। গুজরাটের ভোটব্যাঙ্কের অনেকটাই ভারসাম্য রক্ষা করে হার্দিকের পাতিদার গোষ্ঠী। সদ্য সমাপ্ত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে তা ভালোই টের পাওয়া গিয়েছে। তবে, কংগ্রেস-পাতিদার জোটে যতটা পরিমাণ প্যাটেল সম্প্রদায়ের ভোট আসার কথা ছিল তা আসেনি। এর পিছনে পাতিদারদের এক গোষ্ঠীর কংগ্রেসের প্রতি ভরসাহীনতা মানসিকতাও কাজ করেছে।
২০১৯ সালের আগে রাজনৈতিক কারণে কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্গে মোদী বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও হাত মেলাতে চাইছেন হার্দিক। এখনও পাতিদারদের যে গোষ্ঠী মোদী বিরোধিতায় শুধুমাত্র কংগ্রেসের হাত ধরায় কিন্তু কিন্তু করছে তাঁদের একটা সদর্থক বার্তা দেওয়া। সেই সঙ্গে বোঝানো যে মোদী বিরোধিতায় গোটা দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও হার্দিকের সঙ্গে হাত মেলানোর অনেকগুলি কৌশল কাজ করছে। একদিকে মোদী বিরোধী জোটকে যেমন শক্তিশালী করা তেমনি কলকাতায় বসবাসকারী পাতিদারদের মন থেকে মোদী এবং বিজেপি নির্ভরতা কমানো।
নবান্নে এদিন মুখমন্ত্রীর দফতরে এই বৈঠক ক্লোজ-ডোর বলে চালানো হলেও এর সারমর্ম রাজনৈতিক মহলের কাছে জলের মতোই পরিস্কার ছিল। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। হার্দিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর কয়েক জন বিশ্বস্ত সহকর্মীদের নিয়ে।
শুক্রবার দুপুরেই কলকাতায় পৌঁছে যান হার্দিক প্যাটেল। সাপরিষদদের নিয়ে কলকাতার হোটেল রুম থেকে একাধিক ছবিও তিনি টুইটারে শেয়ার করেন। শনিবার হার্দিক কলকাতায় এক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। এরপরই তাঁর এ রাজ্য ছাড়ার কথা।
সম্প্রতি টুইটারে হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন হার্দিক। দিয়েছেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা। ৮ ফেব্রুয়ারি মুসলিমদের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় যে তিনি আসছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন তা টুইটারেও আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক।
आज कलकत्ता पहुँचा !!
— Hardik Patel (@HardikPatel_) February 9, 2018
उड़ीसा और झारखंड के साथी मित्र मुझे मिलने आए थे ।। सभी को मिलकर काफ़ी ख़ुशी मिली ।। pic.twitter.com/ojgtXAL0dC