বঙ্গ সংস্কৃতির নমুনা রাখলেন মমতা, ব্রিগেড-সৌজন্যে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু কলকাতা
ব্রিগেডে যোগ দিতে দেশের প্রথম সারির একঝাঁক রাজনৈতিক তারকারা পা দিয়েছেন কলকাতায়। বাংলার রাজধানী আদতে রূপ নিয়েছে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।
ব্রিগেডে যোগ দিতে দেশের প্রথম সারির একঝাঁক রাজনৈতিক তারকারা পা দিয়েছেন কলকাতায়। বাংলার রাজধানী আদতে রূপ নিয়েছে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। রাত পোহালেই ব্রিগেডে মেগা শো। তার আগে অতিথিদের সাড়ম্বরে আপ্যায়নের বন্দ্যোবস্ত করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলার জননেত্রী।
ব্রিগেডের মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ ভারতের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার স্বপ্ন নিয়ে শনিবাসরীয় সমাবেশের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সারা। এখন শুধু মেগা শো-এর অপেক্ষা। শহরে এখন তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা-সহ গোটা ভারত উঠে এসেছে কলকাতায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাজ বেঙ্গলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাংয়ের সঙ্গে। সাক্ষাৎ করেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। মিজোরামের বিরোধী দলনেতা লালডুহোমার সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন।
[আরও পড়ুন:আর মাত্র মাস দেড়েক, লোকসভার নির্ঘণ্ট ঘোষণার! একইসঙ্গে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনও]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে সাক্ষাতের পর বলেন, এটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। বাংলার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের বড়মাপের নেতারা এসেছেন। তাঁদের আপ্যায়ন করা আমাদের কর্তব্য। এটাই বঙ্গ সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতি রক্ষা করেই প্রত্যেতের খোঁজ খবর নিলাম। তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরা তটস্থ রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে জাতীয় রাজনীতির মেগা শো! কেমন হল প্রস্তুতি, খুঁটিনাটি একনজরে ]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের সমস্ত প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছেন, তাঁদেরও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখা আমাদের কর্তব্য। সমস্তরকম ব্যবস্থা হয়েছে। তবু এত মানুষ এসেছেন, সবাইকে আমরা জায়গা দিয়ে পারিনি। এই ঠান্ডায় তাঁরাই স্টেজের নিচে থাকতে চেয়েছেন। নিজেরাই আবার বলছেন, সকালেই আমরা স্টেজের নিচে থেকে সরে যাব। মানুষের এই ভালোবাসাই আমাদের চলার পথের পাথেয়। সেইমতো পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মাথা গোঁজার জন্য মানবিকতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে।
[আরও পড়ুন: কোন পথে গিয়ে মিছিল মিশবে ব্রিগেডে! জেনে নিন খুঁটিনাটি ]